করোনায় নয় কুয়েতে স্ট্রোকে মারা গেছেন শওকত : লাশ আনার প্রস্তুতি

জীবননগর ব্যুরো: করোনা ভাইরাসে নয় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কুয়েতে মারা গেছেন জীবননগর নতুন তেঁতুলিয়ার শওকত আলী (৪০)। শওকতের করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রচার পেলেও কুয়েত সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ হতে পরীক্ষার পর তার স্ট্রেকে মৃত্যু হয়েছে বলে সনদ দেয়া হয়েছে। ফলে শওকতের মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তার মরদেহ দেশে এসে পৌঁছুবে বলে শওকতের পরিবারের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে। গত ৬ জুলাই কুয়েতে মারা যান রেমিটেন্সযোদ্ধা এ প্রবাসী।
মৃতের পরিবারের পক্ষ হতে জানানো হয়, নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের শওকত আলী গত বছর কুয়েতে যান। কুয়েতে যাওয়ার পর করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। ফলে একপ্রকার রুমেই বন্দি হয়ে পড়েন এ রেমিটেন্সযোদ্ধা। এমতাবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ৬ জুলাই রুমেই মারা যান শওকত। করোনা ভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে এবং তথ্যের ভিত্তিতে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় গত ৮ জুলাই সংবাদ প্রকাশিত হয়। কুয়েতের স্বাস্থ্য বিভাগ হতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর শওকতের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েনি বলে জানানো হয়। কুয়েক স্বাস্থ্য বিভাগ হতে ডেথ সার্টিফিকেটের সাথে করোনা নেগেটিভের সার্টিফিকেটও দেয়া হয়। শওকতের মরদেহ বর্তমানে কুয়েতের সাবা আল নাসের শহরের ফারওয়ানিয়া হাসপাতালের মরচুয়ারীতে রাখা হয়েছে। তার মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শওকতের নিয়োগদানকৃত কোম্পানীও তার মরদেহ দেশে নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা করছে বলে জানা গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে তার মৃতদেহ দেশে এসে পৌঁছুবে বলে পরিবারের পক্ষ হতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শওকত আলী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নেপা ঘোষপুরের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। লেখাপড়া ও বিবাহের সূত্র ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং জীবননগর হাইস্কুল মার্কেটে একটি স্টেশনারীজ দোকান পরিচালনার পাশাপাশি আকিজ বেভারেজের কোমল পানীয় সামগ্রীর পরিবেশক ছিলেন। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গত বছরের শেষের দিকে তিনি কুয়েত প্রবাসী হন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More