কার্পাসডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন সর্বকনিষ্ঠ মেম্বার ঢাকা শহরের ফুল বিক্রেতা সুমিয়া

রতন বিশ্বাস: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ২৫ বছর বয়সে সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হলেন সুমিয়া খাতুন সুমাইয়া। তিনি ঢাকা তেজগাঁও মহিলা কলেজের মাস্টার্সের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বয়রা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। ঢাকা শহরে ফুল বিক্রি করে পড়ালেখার খরচ চালানো মাস্টার্সের এই শিক্ষার্থী কার্পাসডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনে বই প্রতীকে নিয়ে ৩ হাজার ৬৮৩ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইয়াসমিন খাতুন হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৪২ ভোট। সংরক্ষিত এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শিক্ষিত মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হলেন। জানা গেছে, সুমিয়া ২০১১ সালে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ২০১৩ সালে কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। সুমিয়া খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঢাকা থেকে মাস্টার্স শেষ করে আইসিএবির অধীনে সিএ পড়ে হিসাব নিরীক্ষক হওয়ার ইচ্ছা ছিলো। নিজের পড়ালেখার খরচ ও হাত খরচের টাকা যোগাড় করার জন্য নিজ ইচ্ছায় ঢাকা শহরে ফুল বিক্রি করার কাজ শুরু করি। পাশাপাশি আমি কবিতা, উপন্যাস ও গল্প লেখালিখি করি। কিছুদিন আগে ফুল বিক্রি করে লেখাপড়ার খরচ চালানোর একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। চলতি বছরে ঢাকা বই মেলায় জিতবই নামে আমার একটি কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো জনপ্রতিনিধি হওয়া। এলাকার নির্যাতিত নারী ও এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। নারীদের স্বাবলম্বী এবং এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখার প্রত্যয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়ি। জনগণ আমার পক্ষে রায় দেয়। এখন আমার কাজ হচ্ছে জনগণকে আমার দেয়া কথা রক্ষা করা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More