কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দুই শিক্ষার্থীর কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিশ্চিত করার নাম করে বিকাশের মাধ্যমে তাদের হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এক্ষেত্রে তারা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে চক্রটি এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে দেয়া উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে বেশ কিছুদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে গত বুধবার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নাম করে ৪৫ হাজার টাকা তারা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে। এক্ষেত্রে তারা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে শিক্ষার্থীদের নাম-ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম এমনকি কলেজের ক্লাস রোল পর্যন্ত ঠিকঠাক বলে। এছাড়া বেশকিছু শিক্ষার্থীদের নিকট এই প্রতারক চক্রটি ফোন দিয়েছে উপবৃত্তি টাকা দেবে বলে। এ বিষয়ে ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান অভিযোগ করে বলেন, আমার কাছে ফোন দিয়ে বলেন, আমি শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা বলছি। তোমার উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করার জন্য ২১ হাজার ৪শত টাকা তোমার বিকাশ নাম্বারে লোড করো। তাহলে তুমি ১৫ হাজার টাকা পাবে। আমি বিকাশের দোকানে গিয়ে টাকা লোড দেয়ার পর আমার বিকাশের লোডের টাকা তারা উত্তোলন করে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি জিডি করেছি। আরেক শিক্ষার্থী আলামিন অভিযোগ করে বলেন, একই পন্থায় আমার কাছেও ২৪ হাজার ৫শ টাকা নিয়েছে চক্রটি। তারা ফোন দিয়ে আমাদের নাম, রোল নাম্বারসহ পিতার নামও সঠিক বলছে। আমি বিশ্বাস করে আমার বিকাশে টাকা লোড করে এখন সব টাকা তুলে নিয়েছে। আব্দুল হালিম নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানায়, আমার কাছেও ফোন দিয়ে বলে তোমার বিকাশে ২৫ হাজার লোড করো তাহলে উপবৃত্তির ১৫ হাজার টাকা পেয়ে যাবে। তবে আমি টাকা লোড করিনি। কলেজের প্রায় সকলের কাছে ফোন দিচ্ছে চক্রটি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. হামিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমি শুনেছি। উল্লেখ্য গত দুইদিন আগে এই প্রতারক চক্রটির ফাঁদে পড়ে কলেজের এক শিক্ষার্থী ২৫ হাজার টাকা খুঁইয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More