কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পানিতে লাফ দিয়ে নাঈম (৯) নামে তৃত্বীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর মরদেহ পাওয়া গেল। বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা নদীর কচুরিপানার মধ্যে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে দুইদিন সোমবার ও মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও এলাকাবাসি তন্ন তন্ন করে খুজেও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। নিহত শিশু নাঈম কালীগঞ্জ উপজেলার মাসলিয়া গ্রামের সবজি বিক্রেতা মহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার দুপুরে গোসল করতে বাড়ির পাশে বুড়ি ভৈরব নদীর হাসিলবাগ ব্রীজের উপর থেকে পানিতে লাফ দেয় নাঈম। এসময় তার সাথে অন্য বন্ধুরা ছিল। সবাই পানি থেকে উঠে আসলে নিখোঁজ হয়ে যায় নাঈম। পরে ঘটনাটি জানাজানির পর স্থানীয়রা খোজাখুজি করে ব্যর্থ হয়। খবর দেওয়া হয় কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে। তারাও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের খুলনার ডুবুরিরা। তবে, পানিতে ¯্রােত ও প্রচুর কচুরিপানা থাকায় উদ্ধার অভিযানে বিঘœ ঘটছে বলে জানান ডুবুরিরা। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়ায় ডুবুরিরা ফিরে যায়। বুধবার স্থানীয়রা দলবেধে নদীতে নেমে পড়ে। এরপর দুপুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকায় তাকে খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছিল। দুইদিন চেষ্টার পর মরদেহ না পেয়ে ডুবরিরা ফিরে গিয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.