কুড়ুলগাছি চ-িপুরে বিয়ের দাবিতে অনশন ছাত্রীর : মারধর করে বিতাড়িত

কুড়–লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের রবিউলের ছেলে রাসেল অহম্মদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন এক স্কুলছাত্রীকে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রী বিয়ের দাবিতে রাসেলের বাড়িতে অবস্থান করলে রাসেলের পরিবারের লোকজন তাকে নির্যাতন করে বিতাড়িত করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কুড়–লগাছি ইউনিয়নের চ-িপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার প্রভাবশালী রবিউলের ছেলে রাসেল প্রেমের ফাঁদে ফেলে চন্ডিপুরের স্কুলপাড়ার আশরাফের মেয়ে তাসনিয়াকে। দীর্ঘ প্রায় ১ বছরের সম্পর্ক রাসেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এখান সেখান ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে তাসনিয়াকে। রাসেল বড় লোকের ছেলে হওয়ায় সে নিজের ইচ্ছামত মেয়েদের সাথে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছবি তুলে ইন্টানেটে দেবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তাসনিয়া বিয়ের কথা বললে রাসেল আজকাল করে ঘোরাতে থাকে। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাসনিয়া বিয়ের দাবি নিয়ে রাসেলের বাড়িতে অবস্থান করলে তার পিতা আশরাফ আলী, ছেলের মা ও ছেলের ভাই হাসিবুলসহ তার পরিবারের লোকজন তাসনিয়াকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয়। বর্তমানে রাসেলের বাবা এলাকায় দম্ভোক্তি করে বলে বেড়াচ্ছে আমার কেউ কিছুই করতে পারবে না। সব টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছি। পত্রিকায় লিখে আমার কি হবে। কেউ আমার কিছুই করতে পারবে না। বড় লোকের ছেলে হওয়ায় সে বেপরোয়া চলাফেরা করে। তার কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। রাসেলের বাবা বলেন কোনোদিন ওই মেয়ের সাথে বিয়ে দেবেনা। ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়ের পরিবারের সাথে গোপনে আপস করে ছেলের অনত্র বিয়ে দিয়ে দেবে। না হলে ছেলেকে বাইরে পাঠিয়ে দেবে।
এ বিষয়ে জানতে রাসেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা আশরাফ বলেন, ছেলে অন্যায় করেছে তাতে কি হয়েছে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে তা মীমাংসা করে ফেলবো। এ বিষয়ে তাসনিয়া জানান, রাসেল প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার সর্বনাশ করেছে। তাকে না পেলে আমার মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। শুধু আমরা গরিব অসহায় বলে বিচার পাচ্ছি না। এদিকে মেয়ের মা বলেন, গতকাল শনিবার তাসনিয়া বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, এখনো পর্যন্ত অভিযোগ আমার কাছে এসে পৌছায়নি, আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। বিষয়টির প্রতি সুনজর দিয়ে প্রেমিক নামের রাসেলকে আইনের আওতায় আনতে চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল। সেই সাথে অসহায় এই মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে আইনগত সহায়তা দিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More