গলায় ফাঁস লেগে প্রাণ গেলো স্কুলছাত্র সামিউলের

পাঁচমাইল প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার মহাম্মদজমায় অসাবধানতায় গলায় ফাঁস পড়ে সাইদুল ইসলাম সামিউল নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাইদুল ইসলাম সামিউল (১০) সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাম্মদজমা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও সিন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মা অসুস্থ থাকায় খাবার খেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে বলে ছেলে সামিউলকে। নতুন ঘর নির্মাণের কারণে পুরোনো ঘরে খাবার ও বই রাখা ছিলো। সেই ঘরের বারান্দায় শাড়ির পাড় গিট বাঁধা অবস্থায় ঝুলানো ছিলো। ওই ঘরে যাওয়ার পর খাবার না পেয়ে একা একা খেলার সময় অসাবধানতাবশত তার গলায় ফাঁস লাগে। এ সময় প্রতিবেশী একজন দেখতে পেয়ে শিশু সামিউলকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রায় অধাঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিশু সামিউলের বাবা বলেন, আমি বড় ছেলের সাথে বাইরে ছিলাম। বাড়িতে আমার অসুস্থ স্ত্রী আর ছোট ছেলে সামিউল ছিল। কিভাবে কি হয়েছে আমি জানি না। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে ছেলের মরা মুখ দেখলাম বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুকে ভর্তি করা হয়েছি। এর আধাঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা থানা পুুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈফ বলেন, পুরোনো ঘরের বারান্দায় শাড়ির পাড় ঝোলানো ছিল। এতে বিভিন্ন ভ্যারাইটিস জিনিসপত্র ঝুলিয়ে রাখা হতো। সকালে খেলার ছলে গলায় ফাঁস লাগে শিশুর। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত হয়। তিনি আরও বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে কোনো সন্দেহজনক মনে হয়নি। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More