গাংনীকে ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধীর সন্তানের পিতা কে?

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামে ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী এক মায়ের গর্ভের সন্তানের পিতার পরিচয় মিলছে না। ভূমিষ্ট হওয়া সন্তানের পিতার পরিচয় শনাক্ত করতে একই গ্রামের রাহিল উদ্দীনের ছেলে বানারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ডিএ’নএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার পর তার সাথে মিলছে না শিশুর পিতৃপরিচয়। এ নিয়ে বাক প্রতিবন্ধীর পরিবার চরম বিপাকে পড়েছে।

ধর্ষিতা ওই বাকপ্রতিবন্ধীর মা জানান, তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেশী বানারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় কয়েক মাস হাজতবাস থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বানারুল ইসলাম। গত বছরের ৬ নভেম্বর রাতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়ে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলেও বানারুলের সাথে কন্যার ডিএন এ টেস্টে মিল নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমার মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী হলেও আদালতে ইশারা-ইঙ্গিতে জানিয়েছে বানারুল তাকে ধর্ষণ করেছে। বানারুল প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে সে মামলা তুলে নেয়াসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। ধর্ষিতার নানী জানান, প্রতিবেশী রহিল উদ্দীনের ছেলে বানারুল আমার নাতনিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কারণে গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসব করেছে। আমরা দরিদ্র মানুষ তিনবেলা আমাদের ভাত জোটেনা। বিচার না পেলে স্ব-পরিবারে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই। মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বানারুল কতিপয় সমাজপতিদের নিয়ে নানা অপপ্রচার করছে। এদিকে ধর্ষণ মামলার আসামি বানারুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন জানান, মামলার আসামি বানারুলের সাথে শিশুর ডিএনও টেস্টে মিল নেই। এ কারণে ধর্ষিতার সাবেক স্বামীর ডিএনও টেস্ট করা হবে। তবে বাকপ্রতিবন্ধী ধর্ষিতা আদালতকে ইশারা-ইঙ্গিতে জানিয়েছে বানারুলরই তাকে ধর্ষণ করেছে। মামলা তদন্ত শেষ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। তারপর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More