গাংনীতে পল্লী চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময়সভায় অতিথিবৃন্দরা : নিয়ম মেনে প্রাথমিক চিকিৎসার অঙ্গীকার

গাংনী প্রতিনিধি: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলর (বিএমডিসি) সনদ ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি লিখবেন না এবং নিয়ম মেনে প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অঙ্গীকার করলেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের পল্লী চিকিৎসকরা। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের সাথে এক মতবিনিময়সভায় তারা এ বিষয়ে যারা যার অবস্থান তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম রিয়াজুল আলাম। তিনি বক্ততৃায় বলেন, ডাক্তার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজক পদবি। যে কেউ যেকোনো পর্যায়ে ডিগ্রি নিয়ে নামের আগে এই শব্দ বসাতে পারে না। নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয়ও দিতে পারেন না। কিন্তু আমাদের দেশে এর যত্রতত্র ব্যবহারে নানা সংকট তৈরি করছে এবং ধোকা খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ডাক্তার পদবি ব্যবহারে আইন ও নীতিমালা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১০ এর ধারা ২২(১) ও ২৯(১) এর আওতায় এমবিবিএস/বিডিএস বাদে অন্য কোনো চিকিৎসক নামের আগে ডাক্তার পদবি ও নামের পরে ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবে না। এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদেরকেও নামের আগে ডাক্তার লিখতে হলে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। বিএমডিসি’র সংশোধিত আইন অনুযায়ী পল্লী চিকিৎসক ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা তাদের নামে আগে ডাক্তার লিখলে বা পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বিএমডিসি।
আইন লঙ্ঘনকারী দ-িত হবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএমডিসি আইনের ২২(১) ধারায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন ব্যতীত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা নিষিদ্ধ। অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেন এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত ব্যতীত কেউ নিজেকে মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলে পরিচয় প্রদান করতে পারবে না। এ ধারা লঙ্ঘনকারী ৩ বছরের কারাদ- অথবা এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে দ-িত হবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলার প্রায় সকল এলাকার পল্লী চিকিৎসকবৃন্দ। আইন না জানায় অনেকে ডাক্তার পদবি লিখে স্বীকার করে তারা বলেন, ভবিষ্যতে তারা আইন ও নীতিমালা অমান্য করবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার নামে কেউ ভুয়া ডাক্তার নাম, ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে স্বাস্থ্য বিভাগ বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More