গাংনীতে বসতি এলাকায় ফার্নিচার কারখানার দূষণে অতিষ্ট এলাকাবাসী

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর চৌগাছা গ্রামে ফার্নিচার কারখানার দূষণে অতিষ্ঠ আশেপাশের বাসিন্দারা। কারখানায় ব্যবহৃত রংয়ের কেমিক্যালের দুর্গন্ধ ও প্লাউড বোর্ডের গুড়া যেনো নিত্যসঙ্গী। প্রতিকার চেয়ে বসতি এলাকা থেকে কারখানা সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়েছেন এলাকাবাসী। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি আশেপাশের লোকজনের কোনো সমস্যা হয় না। স্থানীয়রা গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কারখানাটি জনবসতি এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবিতে।
ভুক্তভোগীরা আবেদনে দাবি করেছেন, চৌগাছা ভিটাপাড়ায় সুমি ফার্নিচার কারখানাটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটানা ফার্নিচার তৈরীর কাজ চলে। প্লাউড কাটা ও পালিস করায় এখান থেকে গুড়া ওড়ে। অপরদিকে ফার্নিচারে স্প্রে রং করা হয়। ফলে আশেপাশে দুর্গন্ধে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারখানার ধুলি গুড়া ও রংয়ের কেমিক্যাল দুর্গন্ধে চরম কষ্টে বসবাস করতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের। কেমিক্যালের দূষিত পদার্থ বাতাসে মিশে আশেপাশের মানুষের শ^াসকষ্টজনিত নানা সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বসতি এলাকা থেকে দ্রুত কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আকুতি জানিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের একটি ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা এলাকার জন্য মঙ্গলজনক। যেখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে। তবে পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয়ে খেয়াল না রেখে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন কতোটা যৌক্তিক তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য গাংনী পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগটি প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কারখানার মালিক রফিকুল ইসলাম বাদল। কারখানায় গিয়ে অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানা মালিকের পক্ষে কথা বলেন তার শ্যালক পরিচয়দানকারী হাসান আলী। তিনি দাবি করেন, এখানে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। কারখানার মধ্যে রং ও প্লাউড বোর্ড কাটার সময় সতর্কতার সাথে কাজ চলে। আশেপাশের মানুষের কোনো সমস্যা নেই।
তবে কারখানা পরিদর্শন করে বিস্ময় প্রকাশ করে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমন বসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা কিভাবে অনুমোদন হয় তা সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ফার্নিচার কারখানার লাইসেন্স সম্পর্কে হাসান আলী বলেন, সব লাইসেন্স আছে। মাস চারেক আগে থেকে কারখানা চালু হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতর ছাড়পত্রও দিয়েছে বলে তিনি দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More