বিশেষ প্রতিনিধি: ১০ টাকার বিনিময়ে শিশুরা চড়ছে ঘোড়ায়, আর ঘোড়সওয়ার যাচ্ছে পাশাপাশি হেঁটে। তাতেই রাজ্যের আনন্দ ওদের চোখে-মুখে!
দামুড়হুদার পুড়াপাড়ায় তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানকে ঘিরে আগত এ ঘোড়সওয়ারের সাথে দেখা হয় গতকাল বিকেলে, সেইসাথে কথা হয় ক্ষণে ক্ষণে। এ ঘোড়সওয়ারের নাম জসিম উদ্দিন। তিনি বসবাস করেন দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামে।
ঘোড়সওয়ার জসিম উদ্দিন জানান, তার ঘোড়ার নাম হিরা। দুজন দুজনের বন্ধু। খুব আদর যত্নেই তাকে লালন-পালন করে থাকে। মূলত এটিই তার ব্যবস্যা। তাই এরকম কোনো অনুষ্ঠানে ডাক পেলে, তার এ ঘোড়াকে নিয়ে সে ছুটে চলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
তিনি আরো জানান, ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁকিয়া চলিল, মূলত এ খেলায় অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা অংশ গ্রহন করে। শিশুরাই বেশি ওঠে তার ঘোড়ার পিঠে। কেউ তোলেন ছবি আবার কেউ দেন চক্কর। ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছোট চক্কর ১০ টাকা তবে একটু বড় চক্করে গুনতে হবে ২০ টাকা।
চক্কর দিতে যাদের প্রাণ হিম হয়ে আসে, তারাই আবার ঘোড়ার পিঠে বসে স্মৃতির ছবি তুলে রাখে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই ছবি তোলার কাজটি করেন বেশি।
দর্শনা থেকে আসা এক মধ্য-বয়সী নারী নিজের ১১ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে আসেন এ ঘোড়ার কাছে। প্রথমে মেয়েকে ঘোড়ার পিঠে তুলে দিলেন এবং সাথেই তুলে দিলেন তার ৮ বছর বয়সী ছেলেকে। কিছুক্ষণ পর ঘোড়া থেকে নেমে এদের উল্লাস দেখে কে!
কার্পাসডাঙ্গা থেকে আসা নির্মল বিশ্বাস নামের এক ব্যবসায়ী তার ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে তুলে দিলেন এ ঘোড়ার পিঠে। তারপর ছেলেটি ঘোড়ার লাগাম ধরে হুটহাট শব্দে বললো, এই চল চল টগবগিয়ে! রাজ্যের আনন্দ যেনো সব ওর চোখে-মুখে!
জয়রামপুর থেকে আসা শুভাশীষ দাস নামের এক ব্যবসায়ী তার ৫ বছর বয়সী মেয়েকে তুলে দিলেন এ ঘোড়ার পিঠে। ভয়ে কাতর মেয়ে। তাই মেয়েকে ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে নিজে পাশে দাড়িয়ে ছবি তুললেন। উপস্থিত কয়েকজন বললেন, মেয়েকে নিয়ে এক চক্কর দিয়ে আসতে। কিন্তু তিনি তাতে রাজী না হয়ে বললেন, ঘোড়ার পিঠে চড়তে দম লাগে, লাগে প্রশিক্ষণ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.