চুয়াডাঙ্গার খেজুরতলায় টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতের অভিযোগ বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার : মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে মাঠে পুলিশ
গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামে মায়ের ফারাজের সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে ছেলের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। তবে আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পালিয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের মকবুল হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৬৫) তার নিজ বাপের বাড়ি থেকে ফারাজের জমি বিক্রির সাড়ে ৩ লাখ টাকা পান।ওই টাকা তার একমাত্র ছেলে আকিদুল ইসলাম তার কাছথেকে জোরপূর্বক নিয়ে নেন। তারপর থেকে তার মায়ের মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন সময় তার মা ওই টাকা ফেরত চাইলে ছেলে আকিদুলের সাথে মনোদ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত পরশুদিন সে তার মাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মা সুফিয়া খাতুন (৬৫) নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরে বিকেলে দামুড়হুদা ও জীবননগর দর্শনা থানার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত সুফিয়া খাতুনের ছোট জামাই কামরুজ্জামান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে অভিযোগ করে বলেন, আমার শাশুড়ি ফারাজ বিক্রি করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে আসে। সেই টাকা আমার শাশুড়ির কাছ থেকে আমার শ্যালক জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। তারপর থেকে আমার শ্বাশুড়ির মাথায় সমস্যা হয়। এই টাকাকে কেন্দ্র করে গত পরশু আমার শ্যালক আকিদুল আমার শ্বাশুড়িকে ঝাটা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সুফিয়া খাতুনকে মেরে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তার জামাই কামরুজ্জামান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশী জানান, ওর মাকে ভাত দেয় না। মাকে সুস্থ রাখতে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেছিলাম। পরশুদিন তার মাকে মেরে রক্তাক্ত করলে আমার কাছে ছুটে এসে বিস্তারিত বলে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। গতকালকেও আকিদুল তার স্ত্রীকে নির্দেশ দেন তার মাকে মারার জন্য। আজকে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হক লিটু বলেন, তিনি বসে গলায় দড়ি দিয়েছেন বলে শুনেছি আবার মুখে বিষের গন্ধ পেয়েছে। সবকিছু মিলে সবার সন্দেহ করছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বোঝা যেতে পারে। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত হবে। এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শহীদ তিতুমীর বলেন,মৃত্যুর প্রকৃত কারন ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। তবে দীর্ঘ হ্যাংগিং এর সিনড্রোম পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.