চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে দোকান বাকির টাকা চাওয়ায় বিরোধ : ছেলেকে না পেয়ে গলায় হেসো ধরে পিতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর গ্রামে সার কীটনাশক দোকানের দোকান বাকির টাকা চাইতে গিয়ে রোষানলে পড়েছে দোকানদার হাফিজুর রহমান। এ বিরোধের জের ধরে দোকনদারকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ পিতার গলায় হাসুয়া ধরে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেনাদার আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। পিতাকে ঘরে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগে জানাগেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দোকানদার হাফিজুর রহমান। অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর পূর্বপাড়ার লাল মোহাম্মদের ছেলে হাফিজুর রহমান বাড়ির সামনে দোকান দিয়ে সার কীটনাশকের ব্যবসা করেন। বেশ কিছুদিন আগে গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আক্তার হোসেন দোকান থেকে ২৩ হাজার টাকার সার কীটনাশক বাকিতে নেয়। হাফিজুর রহমান প্রায় সময় দোকান বাকির টাকা চাইতে গেলে দোকান বাকির টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে দেন আক্তার হোসেন। গত পরশু শনিবার এই পাওনা টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিত-া হয়। তারই জের ধরে গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আক্তার হোসেন দোকানে বসে থাকা হাফিজুরের পিতা লাল মোহাম্মদের গলায় হাসুয়া ঠেকিয়ে দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। একপর্যায় আক্তার হোসেন সাদা স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে লাল মোহাম্মদকে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা চালাই। লাল মোহাম্মদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আক্তার হোসেনের ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে। দোকান থেকে লাল মোহাম্মদের গলায় হাসুয়া ধরে তুলে নিয়ে যাবার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পুলিশকে দেখায় হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় বাদী হয়ে হাফিজুর রহমান গতকালই দর্শনা থানায় অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে গলায় হাসুয়া ধরে পিতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করার ঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে আক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.