চুয়াডাঙ্গায় কৃষক ও ডিলার সম্মেলনে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার

ভালো বীজ না হলে ভালো ফসল হবে না
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষক ও ডিলার সম্মেলন-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে শহরের রেডচিলি রেস্টুরেন্টে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পাঁচমাইলের মডার্ণ এগ্রো সীড এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে যশোর, জয়পুরহাট ও চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষক ও ডিলাররা অংশগ্রহণ করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পাঁচমাইলের এগ্রো সীডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইকবাল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক ও ডিলার সম্মেলনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ ড. আব্দুল মাজেদ ও সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মডার্ণ এগ্রো সীডের বিপণন উন্নয়ন কর্মকর্তা রায়হানুজ্জান কৃষক ও ডিলার সমেশরন সঞ্চালনা করেন।
সম্মেলনে যশোরের ধানচাষী কৃষক বেল্টু হোসেন, ঝিনাইদহের ধানচাষি আলতাব হোসেন, চুয়াডাঙ্গার আলুচাষি কৃষক জামাত আলী ও কৃষক সারজেত আলীকে পুরস্কৃত করা হয়। এসময় কৃষক শিপলু হোসেনসহ অন্যান্য কৃষক ও ডিলাররা বক্তব্য রাখেন।
কৃষক ও ডিলার সম্মেলনে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, কৃষকদের অনেক সমাবেশ করি। সেখানে যায়। আমি নিজেও একজন কৃষক। যখন ঢাকায় থাকি কৃষির কাজ করি। ধান, গম ও পানের বরজ আছে। ছোট ভাই চাকরিজীবী। সেও কৃষিকাজ করে। কৃষি ছিলো আদিকাল থেকে। সমগ্র মানুষের পেশায় ছিলো কৃষি। পুষ্টি না পেলে শরীর ঠিক থাকবে না। কৃষকের মাধ্যমে চাষ হবে। কৃষিকাজ ও কৃষক ছাড়া জীবন চলবে না। কিভাবে কৃষিকে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাজ ছিলো কৃষক নিয়ে। ৫০০ কোটি টাকা বাজেট ছিলো। এরমধ্যে ১০১ কোটি টাকা ছিলো কৃষির জন্য। কৃষির জমি অনেক কমে গেছে। কৃষিবিদদের ব্যাপক গবেষণার সুযোগ দিয়েছে। খরা ও লবণাক্ত জমিতে কিভাবে চাষ করা যায়। এজন্য জমির পরিমাণ কমে গেলেও চাষ হচ্ছে। সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। নি¤œমাণের কপি বীজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভেজাল সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সার ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অন্যায় ব্যবসা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। উন্নত মানের চাষাবাদ কৃষকদের দেখাবেন। নিজের কাছে সৎ থাকতে হবে। যখন উৎপাদন ভালো না হবে, তারা বসে পড়বে। আপনাদের দ্বারা সেটা না হয়। ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এসব প্রণোদনা সকলের কাছে পৌঁছাবে। ভালো মা না হলে, ভালো সন্তান হবে না। তেমনি ভালো বীজ না হলে ভালো ফসল হবে না। বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মডার্ণ এগ্রো সীড সেই কাজটা করবেন। উৎপাদন বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্ন দেখছেন। প্রত্যেক সূচক আমরা বাস্তবায়ন করছি। তাহলে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে। যে যার অবস্থান থেকে কাজ করছেন তার জন্য দোয়া করি।
সভায় বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ ড. আব্দুল মাজেদ বলেন, ভালো বীজ উৎপাদন করবেন। প্রচুর বীজ কোম্পানী রয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে গেলে ভালো বীজ করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকরা অর্থনীতির চালিকা শক্তি। কৃষি মূল উপকরণ বীজ। এটা যদি ভালো হয়, খুবই ভালো। না হলে, খুবই খারাপ। কৃষি উন্নয়ন আমাদের মূল লক্ষ্য।
সভায় মডার্ণ এগ্রো সীডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল বিশ্বাস বলেন, ২০১২ সালে আমরা ধানবীজ দিয়ে উৎপাদন শুরু করি। ২০১৩-২০১৪ সালে আলুবীজ, গম ও সবজী বীজ উৎপাদনে যায়। ভালো মাণের বীজ উৎপাদনই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমাদের সাথে প্রায় চার শতাধিক চুক্তিবদ্ধ কৃষক রয়েছে। আলুবীজ ৩০০ বিঘা, ধানবীজ ২০০ বিঘা এবং ১৫০ বিঘা জমিতে সবজী বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More