চুয়াডাঙ্গায় নিজের ঘর থাকা স্বত্ত্বেও সরকারি আবাসনে ঘর পেয়ে ভাড়া দেয়াসহ নানা অভিযোগ

 

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গ্রহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এরই সূত্র ধরে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামে নিজের বসবাসের জন্য ঘর থাকা স্বত্ত্বেও ঝাঝরি আবাসনের সরকারি ঘর নিয়ে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। অভিযোগ উঠেছে তার বসবাসের জন্য ঘরসহ জমিজায়গা থাকা স্বত্ত্বেও সরকারি আবাসনের ঘর পেয়ে সেটিতে বসবাস করেন না। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি আবাসন প্রকল্পে সরকার ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ২০টি ঘর বরাদ্দ করেন। এর মধ্যে ঝাঝরি উত্তরপাড়ার আলী হোসেন ফকিরের ছেলে আব্দুল হালিম তথ্য গোপন করে স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশের সহায়তায় আবাসনের ১৬ নং ঘরটি বরাদ্দ নেয়। কিন্তু এই বরাদ্দকৃত ঘরে গত ৯ মাসের মধ্যে কেউ স্থায়ীভাবে বসবাস করেনি। কারণ আব্দুল হালিমের উত্তরপাড়া পাকা রাস্তার সাথেই বসবাসের জন্য ঘর রয়েছে এবং তার পিতার সাথে তৈরি করছেন পাকাঘর। অভিযোগ উঠেছে আবাসনের ওই ঘর গত কিছুদিন আগে ধান কাটতে আসা অপরিচিত মানুষের কাছে ১৭শ’ টাকায় ভাড়া দিয়েছিলেন। অপরিচিত মানুষের কাছে স্থানীয় আবাসন বসবাসকারীরা ঘর ভাড়া বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন আব্দুল হালিম পাকাঘর তৈরি করেছেন এবং তার মাঠে ১/২ বিঘা জমি রয়েছে। সে কাঁচামাল ব্যবসায়ী। চলাচল ভালো। মোটরসাইকেলও আছে এবং কথিত গ্রাম পুলিশের কাছে জমিও বিক্রি করেছে তারা। কারণ তার সাথে যোগসাজশে এই ঘরটি তারা পেয়েছে। কিন্তু সবকিছু অস্বীকার করেন আব্দুল হালিম বলেছেন আমার জমিজমা নেই, মাঝে মাঝে ঘরে যায়। আর পাকাঘরটি আমার পিতার। এ বিষয়ে আব্দুল হালিমের পিতা বলেন, আমাদের জমিজমা নেই। মাঝে মধ্যে আমার বোন সেখানে গিয়ে থাকে। আর ওই গ্রাম পুলিশের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক। আমাদের অনেক সময় টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। তার কাছে ওইভাবে জমিটি বিক্রি করেছি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর জোয়ার্দার বলেন, অল্প ভিটাজমি বিক্রি করে থাকার মত ইটের ঘর করেছে, ছাদ করেনি। মাঝে একবার ওর বোন আবাসনে গেছিলো জানি। তারপরও আমি কাল খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More