চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি : অন্যের জমিকে রাস্তা দেখিয়ে চড়ামূল্যে প্লট বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়ায় প্রতারণামূলকভাবে অন্যের জমিকে রাস্তা দেখিয়ে চড়ামূল্যে প্লট বিক্রির অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী পাঁচ ক্রেতা। রাস্তার অভাবে বর্তমানে তারা গৃহবন্দী জীবনযাপন করছেন বলেও দাবি করেন তারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে প্রতারণার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন ক্রেতারা।
উপস্থিত অভিযোগকারীদের পক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি নিজেসহ মোছা. সামসুন নাহার, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোছা. চামেলী খাতুন ও রোকেয়া পারভীন চুয়াডাঙ্গার শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ের বাসিন্দা আফসার উদ্দিন বাদল মাস্টারের স্ত্রী মোছা. সেলিনা আফসারের নিকট থেকে আরামপাড়ায় জমি ক্রয় করেন। জমি বিক্রির সময় বিক্রেতা মোছা. সেলিনা আফসার এবং তার স্বামী আফসার উদ্দিন বাদল মাস্টার জমি সংলগ্ন আট ফুট রাস্তা নিজেদের দাবি করে উচ্চ মূল্যে প্লট বিক্রি করেন। সেসময় তারা উল্লেখিত রাস্তা জমির দলিলেও ম্যাপ করে উপস্থাপন করেন বিক্রেতা। ওই জমিতে প্রত্যেক ক্রেতায় বাড়ি করে ৮-১০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। ইতোমধ্যে পৌরসভাও বিক্রেতার উল্লেখিত রাস্তায় এইচবি করে জনগণের চলাচল সুগম করেছে। কিন্তু সম্প্রতি রাস্তার পশ্চিমপাশের মালিকগণ তাদের জমি পরিমাপকালে দেখা যায় রাস্তা হিসেবে উল্লেখিত আট ফুট জমির মধ্যে সাড়ে পাঁচ ফুট জমি তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। এ অবস্থায় জমির প্রকৃত মালিক মানবিক কারণে এক ফুট জমি ছেড়ে নিজেদের সাড়ে চার ফুট জমি ঘিরে নিয়েছেন। এ অবস্থায় পূর্বের আট ফুট রাস্তা বর্তমানে সাড়ে তিন ফুটে পরিণত হয়েছে। এতে করে পিছনের বসবাসকারীরা চলচল করতে মারাত্মক অসুবিধায় পড়ছেন।
অভিযোগকারীরা বলেন, এ অবস্থায় জমির বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা রাস্তা দেখিয়ে উচ্চ মূল্যে জমি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করছেন। এবং উদ্ভুদ সমস্যা সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করছেন। অভিযোগকারীদের দাবি বিক্রেতা মোছা. সেলিনা আফসারের ওয়ারিশগণের নামে বেশকিছু জমি রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। যা থেকে রাস্তা পরিমাণ জমি বিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More