চুয়াডাঙ্গা কলেজের সাবেক জিএস শামসুল আরেফিন টুটুর ইন্তেকাল : শোক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা কলেজের সাবেক জিএস ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আরেফিন টুটু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না… রাজেউন)। ঈদের দিন বেলা ২টার দিকে ঢাকার হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। ওইদিনই রাতে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় ঢাকা মাদারটেক বাসাব বাগানবাড়ি কবরস্থানে নামাজে জানাজার পর দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টপাড়ার মরহুম মনিরুজ্জামান বিশ^াসের ছেলে শামসুল আরেফিন টুটু ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন (ভাসানী) তুখড় নেতা ছিলেন। তিনি জিএস পদে নির্বাচিত হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ মিনার স্থাপনেও ছিলো তার বিশেষ অবদান। পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, শামসুল আরেফিন টুটু প্রথমে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হন। পরে করোনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। ঢাকার হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঈদের দিন বেলা ২টার দিকে তিনি শেষ নিশ^াস ত্যাগ করেন। অ্যাড. কামরুল আরেফিন বিশ^াস, মঞ্জুরুল আরেফিন বিশ^াস, নাজমুল আরেফিন বিশ^াস ও সাহিদুল ইসলাম বিশ^াস মরহুম শামসুল আরেফিন টুটুর সহোদর। মৃত্যুকালে স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লণ্টু। শোকবার্তায় বলা হয়েছে, শামসুল আরেফিন টুটু সব সময়ই চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের কথা ভাবতেন। দক্ষ সাংগঠনিক ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা সমিতি শোকাহত। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শামসুল আরেফিন টুটু ঢাকার তিতাসের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ছিলেন। রাজধানীর বাসাব কদমতলা ওয়াসা সড়ক এলাকায় বসবাস করতেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More