ছাগলের খৎনা : ৩০০ মানুষের ভুড়িভোজ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ওহাব ও লাইলী বেগম। তারা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়। এ ২৫ বছরে তাদের ঘরে কোনো সন্তান জন্ম নেয়নি। তারা নিঃসন্তান দম্পতি। তারা ছাগলের বাচ্চার খৎনা দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সম্প্রতি তাদের বাড়িতে একটি ছাগলের দুটি বাচ্চা হয়েছে। সেই বাচ্চা দুটিকে খৎনা দিয়েছেন তারা। এরপর বাচ্চা দুটিকে রঙিন কাপড়ে সাজিয়েছে। তাদের দীর্ঘ এ জীবনে অসংখ্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দাওয়াত খেয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের বাড়িতে কাউকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে পারেননি তারা। তাই আত্মতুষ্টির জন্য ছাগলের খৎনা দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এ দম্পতি। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের দিনমজুর ওহাব আলীর বাড়িতে ছাগলের খৎনা অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা দাওয়াত খান। এদিকে ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাগলের বাচ্চা দুটি দেখতে উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ২৫ বছর আগে ওহাব ও লাইলী বেগম বিয়ে করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের ঘরে কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি। তবে তাদের একটি ছাগলের দুটি বাচ্চা হয়েছে। সেই বাচ্চা দুটির খৎনার আয়োজন করেছেন তারা। এজন্য বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০০ মানুষকে খাইয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে দিনমজুর ওহাব বলেন, ২৫ বছরের বিবাহিত জীবনে ঘরে কোনো সন্তান জন্ম না নেয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এবার আমার বাড়িতে একটি ছাগল দুটি বাচ্চা জন্ম নেয়। তাই আত্মতুষ্টির জন্য এমন আয়োজন করেছি।
এলাকাবাসী তানভির হাসান বলেন, ছাগলের খৎনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের এক মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। জীবনে কখনো ছাগলের খৎনার অনুষ্ঠান দেখিনি এবং কোনোদিন অংশগ্রহণও করিনি। ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানে সবাই খুব আনন্দ পেয়েছেন।
নয়ন ম-ল নামের আরও একজন বলেন, প্রায় দুই যুগ আগে আমাদের গ্রামের ওহাব আলীর সাথে লাইলী বেগমের বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের ঘরে কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি। এজন্য ছাগলের বাচ্চার খৎনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ওহাব। অনুষ্ঠানে সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে এবং তাদের বাড়িতে আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছিলো। ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানটি খুব ভালো লেগেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More