স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি গণতন্ত্রকামী জনতার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই বৈঠকের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, রাজনীতিতে রাজনৈতিক দল এবং সরকারপ্রধানের মধ্যে সংলাপ ও মতবিনিময় সব সময়ই সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা বৃদ্ধি করে। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে এদিন বিকালে দলটির প্রচার বিভাগ থেকে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামী প্রতিক্রিয়া জানাবে। ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়ে আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র আভাস দিয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লন্ডনে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বৈঠকে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন তারেক রহমান। তখন প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, আগামী রমজানের আগেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় জামায়াত। ৩ মে সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের জেলা ও মহানগর আমির সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছে সরকার। সংস্কারের যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, তা যদি গতিশীল করা এবং অংশীজনরা সহযোগিতা করলে, সরকার ঘোষিত সময়ে সংস্কারের পর নির্বাচন সম্ভব। এজন্য দুটি সময়কে আমরা উপযুক্ত মনে করি। একটি ফেব্রুয়ারি মাস রোজা শুরুর আগে। যদি এ সময়ে সংস্কার এবং বিচার কাজ শেষ না হয়, তাহলে এপ্রিল মাস পার হওয়া উচিত নয়। কারণ এরপর কুরবানির ঈদ এবং ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.