জীবননগরে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের লোগি বৈঠার তান্ডব মানুষ ভুলবে না
জীবননগর ব্যুরো : ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের লগি- বৈঠার বর্বর হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে জীবননগরে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে বাসস্ট্যান্ডের মুখ্যমঞ্চে জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী আপসহীন। যার প্রমাণ ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর। সেদিন সারাদেশে জামায়াতের কর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছে। ইসলামী আন্দোলন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে । আমাদের শহীদরা শুধু জামায়াতের কাছে নয় পুরো জাতির কাছে প্রেরণার বাতিঘর।
সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কি পরিকল্পনা ছিল তা পরবর্তী ১৭ বছরে জাতি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা বাংলাদেশকে ভারতের একটি তাবেদার রাজ্য পরিণত করার জন্য সেদিন এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী জামায়াতে ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর চূড়ান্ত আঘাত করেছিল। তারা চেয়েছিল এদেশের মাটি থেকে ইসলামী আন্দোলন ও তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলার। তার প্রথম পরিকল্পনা হিসাবে তারা সেই সময় ২৮ অক্টোবরকে বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, জসিম, হাবিবুরসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের অফিসগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিল। রাজনীতির নামে এ কোন ধরনের জ্বালাও পোড়াও নীতি। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার মসনদ দখল করা। তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়ে দেশ ও জাতির ওপর অসভ্য ও বর্বর আঘাত হেনেছে।
উপজেলা জামায়াত সভাপতি মাওলানা সাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু বক্করের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আদুজ্জামান, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহম্মেদ, জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা’ ইসরাইল হোসেন ও জেলা মাজিলিসুল মুফাসসিরিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান। এছাড়াও আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি এমদাদুল্লাহ মহসিন, নায়েবে আমীর হাফেজ বিল্লাল হোসেন,, সহকারী সেক্রেটারী সাইদুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক আশাবুল হক মল্লিক, উপজেলা আইটি সম্পাদক হারুন অর রশীদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি কামাল হোসেন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, যুবনেতা আব্দুল মোতালেব, পৌর যুব বিভাগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার, সালাউদ্দীন আহম্মদ, জামায়াত নেতা ফজলুর রহমান, শফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জীবননগরে চলন্ত ইজিবাইক স্ট্রোক
ইজিবাইক চালকের করুন মৃত্যু
জীবননগর ব্যুরো : জীবননগর বাস স্ট্যান্ডে চলন্ত ইজি বাইকে স্ট্রোক করে নুরু ফকির (৫২) নামক এক ইজিবাইক চালকের করুন মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নুরু ফকির ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় নুরু ফর কি পেশায় একজন ইজি বাইক চালক গতকাল তিনি কুসুমপুর হতে যাত্রী নিয়ে জীবননগর আসেন জীবননগর বাস স্ট্যান্ড অতিক্রম করা কালে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এ সময় ইজিবাইক থেকে তিনি সিটকে রাস্তার ওপরে পড়েন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান স্টকে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল হতে নুর ফকিরের মৃতদেহ তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে যাই বলে যারা যায়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.