ঝিনাইদহে দিন দুপুরে দারোগার মায়ের দেড় লাখ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে প্রতারকদের চম্পট!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের কাঁচাবাজারে এসআইয়ের মায়ের দেড় লাখ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে তিন প্রতারক যুবক।
জানাগেছে, ৩ এপ্রিল শনিবার ১১টার দিকে ঝিনাইদহের উপশহরপাড়ার (সিএন্ডবি পুকুরপাড়) সাবেক সেনা সদস্য আ. ছাত্তারের স্ত্রী ও বেনাপোল পোর্ট থানায় কর্মরত এসআই শফি আহমেদ রিয়েলের মা রেখা সুলতানা ঝিনাইদহ শহরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার কাঁচাবাজারে নিজ বাসার বাজার করতে কাঁচাবাজারে যায়। উপশহর পাড়ার নিজ বাসা থেকে কাঁচা বাজারে যেতে গলির মধ্যে তিনি একটা বাচ্চাকে একাকি কাঁদতে দেখতে পান। ছেলেটার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে কেঁদে কেঁদে রেখা সুলতানাকে জানায় ওই কিশোর। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হয় অপরিচিত আরও দুই যুবক। এসময় গলির ভেতরে কৌশলে ও প্যাচে ফেলে মোবাইল ফোনে রেখা সুলতানার সাথে অজ্ঞাত এক ওষুধ ক্রেতা বিক্রেতার কথা বলায়। তাদের ব্যাগে থাকা কিছু দামি ওষুধ দেখিয়ে ভিকটিম রেখা সুলতানার কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়ে প্যাচে ফেলায় প্রতারক চক্র। নানা কথাবার্তায় ভুলিয়ে রেখাকে শহরের হাসান ক্লিনিকের সামনে নিয়ে যায়। প্রাই দুই ঘন্টা তাকে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে তিন প্রতারক যুবকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রেখা সুলতানা তার কানের দুল তিনি নিজেই খুলে তাদের হাতে তুলে দেন। এ সময় তারা প্যাচে ফেলে এক পর্যায়ে তার গলার স্বর্ণের চেইন তারা নিজেরাই খুলে নেন। স্বর্ণের চেন ও কানের দুল প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে সেই তিন যুবক দ্রুত সটকে পড়ে। সাবেক সেনা সদস্য আব্দুস সাত্তার জানান, তার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা ছিল। এটা হয়তো ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই জানতো। আর এই সুযোগটি ছিনতাইকারীরা কাজে লাগিয়ে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। পরে রেখা সুলতানা পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়িতে ফিরে আসে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এদিকে এসআইয়ের মায়ের চেন ও দুল খোয়া যাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই ফজলুর রহমান খবর নিশ্চিত করে জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সিসি ক্যামেরার সহায়তায় ছিনতাইকারী চক্রকে সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।

 

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More