ঝিনাইদহে বিদ্যুতের তথ্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট চাওয়ার নিদের্শ দিলেন জিএম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুতের সাম্প্রতিক অবস্থার তথ্য চাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার নিদের্শ দেন তিনি। এছাড়া তথ্য চাইতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের অধিনে জেলার ৬ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটি এ বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার দুপুরে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ২৪ এর সংবাদ প্রতিনিধি পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর দপ্তরে যান। সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন তথ্য দিব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছে আপনি তার কাছে যান। এসময় তিনি ক্যামেরা বন্ধ করার নিদের্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করে নানান কথা বলেন। সেখান থেকে ওই সংবাদ কর্মী চলে আসেন। বুধবার লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে আরও কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গেলে অফিসে যাওয়ার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হন। তথ্যসরবরাহ না করে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালী-গালাজ করতে করতে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে শোরগোল শুরু করে। সে সময় অফিসে তালা দিয়ে আনসার সদস্যদের ডাকতে বলে। সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যান্যরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে জেলায় কর্মরত সংবাদিক নেতারা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, আজ তিনি যে আচরণ করেছেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না। আমরা অফিসে বসেই আছি আর উনি অফিসের মধ্যে চেচামেচি করে তালা দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। যেন আমরা ডাকাতি করতে এসেছি। এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন জেলার কর্মরত সংবাদ কর্মীরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী ভুল স্বীকার করে দুঃখ্য প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More