ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী সুদীপ জোয়ার্দারের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ও সন্দেহের দানা বাঁধছে। ঘটনার ২০ দিন পার হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বন্ধুমহল ও স্বজনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সুদীপের মৃত্যুকে ‘সুপরিকল্পিত হত্যাকা-’ দাবি করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বন্ধু সওগাতুল ইসলাম হিমেল। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির লোভে গত ৫ জুলাই রাতে সুদীপকে তার সৎ মা চম্পা রানী ও সৎ ভাই শিলন জোয়ারদার হত্যা করে। এরপর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে। লিখিত বক্তব্যে হিমেল আরও বলেন, মরদেহে মাথা, পিঠ ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা আত্মহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মৃত্যুর পর তার পিতা সুনীল জোয়ারদার, সৎ মা ও সৎ ভাই তাড়াহুড়া করে দাফনের চেষ্টা করেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন সুদীপ পারিবারিকভাবে অবহেলা ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নিয়েও তাকে মাত্র ১৩০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হতো। সংবাদ সম্মেলনে ময়না তদন্তের রিপোর্ট ২০ দিনেও না আসায় তদন্তের গতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তার বন্ধুরা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে জানান, কোন বত্যয় ঘটলে তারা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সুদীপ জোয়ার্দারের মামা প্রভাত রায়, ফুপা দেব প্রসাদ রায়, বন্ধু মহলের আবিদ হাসান নয়ন, বাদশা বুলবুল, ফাহাদ মাহমুদ, মেহেদী হাসান, শোভন সাহা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, এম এম মনিরুজ্জামান, সামিউল হক ও স্বাধীন রহমানসহ প্রতিবেশিরা। উল্লেখ্য ব্যবসায়ী সুদীপ জোয়ার্দারের রহস্যজনক মৃত্যুর পর ঝিনাইদহ ও ঢাকায় একাধিক মানববন্ধন, বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে সৎ মা চম্পা রানী ও সৎ ভাই শিলন জোয়ারদার পলাতক রয়েছে।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.