ঝিনাইদহে ১৩৬ রাইস মিল মালিককে কালো তালিকাভুক্তির নোটিশ

সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার পরও সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি করা হয়নি চাল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করার পরও সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে চাল বিক্রি না করায় ঝিনাইদহ জেলায় ১৩৬ রাইস মিল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত ও লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের জন্য তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ার করিম।

ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় লাইসেন্সভুক্ত রাইচ মিলের সংখ্যা ৪৪০টি। এর মধ্যে বোরো সংগ্রহ অভিযানকালে সরকারি ধান চাল ক্রয় কেন্দ্রে চাল সরবরাহের চুক্তি করে ৪৩৫টি মিল। আড়াই’শ রাইস মিল চুক্তিমতো চাল সরবরাহ করে। ৪৯টি মিল চুক্তির আংশিক চাল সরবরাহ করে। ১৩৬টি মিল মোটেও চাল সরবরাহ করেনি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ার করিম জানান, যারা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেনি তাদেরকে কালো তালিকাভুক্তি ও লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেয়া হয়েছে। আর যারা আংশিক সরবরাহ করেছে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। চুক্তিভঙ্গের জন্য তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

বোরো মরসুমে ঝিনাইদহ জেলায় ১৭ হাজার ৬২২ টন চাল ও ১৪ হাজার ১৪২ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো। চালের প্রতি কেজি সংগ্রহ মূল্য ছিলো ৩৬ টাকা এবং ধানের ছিলো ২৬ টাকা। বোরো ধান ওঠার পর প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ছিলো ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ধান ওঠার পর কয়েক দিন ধানের প্রতি মনের দাম ৯০০ টাকা ছিলো। এরপর হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। তখন কোনো চাষি ধান নিয়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের দুয়ার মাড়াইনি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ার করিম জানান, ১০ হাজার ৫২ টন চাল ও ১ হাজার ৩৫৩ টন ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সম্পাদক বিকাশ বিশ্বাস জানান, সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে চাল বিক্রি করে মিল মালিকদের কেজি প্রতি ৪ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত লোকসান হয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More