দর্শনা বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি 

দর্শনা অফিস: দর্শনায় টার্মিনাল স্বপ্নতো স্বপ্নই রয়ে গেলো। গত ৪ বছরেও টার্মিনাল নির্মাণ কাজ করতে দেখা যায়নি। মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে দর্শনাবাসীর লালিত আরো একটি স্বপ্ন দর্শনা বাস টার্মিনাল। দর্শনা পৌরসভাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবীর প্রেক্ষিতে দর্শনা পৌর শহরের মূল সড়কে যানজট নিরসন ও যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ দুরীকরণের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে রশিক শাহ্’র মাজারের সামনের রাস্তার পশ্চিম পাশে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ তার নিজস্ব জমিতে বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। টার্মিনাল নির্মাণে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়। ওই বছরের ৩১ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু প্রকল্পস্থানে ‘দর্শনা বাস টার্মিনাল’ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরপরই প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে মাটি ভরাট ও প্যালাসাইডিং এর কাজও করা হয়। পরের বছর নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অজ্ঞাত কারণে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে টার্মিনালটি নির্মিত না হওয়ায় দর্শনা শহরের মূল সড়কটি রাতদিন ১০-১২টি পরিবহন সংস্থার ঢাকা, অর্ধশত চিটাগাং, সিলেট, বরিশাল, খুলনাসহ দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের দখলে থাকে। ফলে মূল সড়কে দীর্ঘসময় ধরে যানজটের কারণে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বছরের পর বছর এ অবস্থা চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্টদের কারও খেয়াল নেই বলেই মন্তব্য করেছে সচেতন মহল। দেশের ক্লান্তিলগ্ন কাটলে দর্শনাবাসীর প্রাণের দাবী পূরণে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More