দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই মানবিক ও জনকল্যাণ মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। আবারও এক অসহায় নারীর জীবিকা নির্বাহে পুঁজি হিসেবে উপহার দিলেন ব্যাটারি চালিত ভ্যান। একটা ব্যাটারি চালিত ভ্যানের জন্য কার দুয়ারেই না ছুটেছেন এই অসহায় নারী। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভ্যান পাওয়া ওই অসহায় নারীর কাছে এ যেন এক জীবন্ত স্বপ্ন পূরণ। দিন দিন বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্ষয় হয়েছে শরীরের শক্তি। এখন আর তার পক্ষে শক্তি খাটিয়ে পায়ে টানা ভ্যানের প্যাডেল ঘুরোনো খুবই কষ্টের। বেড়েছে দুশ্চিন্তা, সাধের দেহে বাসা বেঁধেছে রোগ বালায়। এতক্ষণ অসহায় সংগ্রামী যে মেয়েটার কথা বলছিলাম; সে আর কেহ না সবার অতি পরিচিত দামুড়হুদা উপজেলা সদরের খাঁনপাড়ার স্বামী পরিত্যক্তা ঝাল-মুড়ি ও বাদাম বিক্রেতা ফাতেমা খাতুনের কথা। গতকাল রোববার দুপুরে অসহায় ওই নারীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল তাকে ব্যাটারি চালিত ভ্যানটি উপহার হিসেবে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, আমি দামুড়হুদা উপজেলায় যোগদানের পর হঠাৎ সে একদিন আমার অফিসে এসে তার সংগ্রামী জীবনের গল্প শোনায়। প্রায় ১যুগ পূর্বে তার স্বামী তার সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ করে। বোনের সংসারে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় তার। এরপর থেকেই শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। টু মুঠো খাবারের জন্য সে একমাত্র সঙ্গী হিসেবে বেছে নেই প্যাডেল ভ্যান। আর তাতে করেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ফেরি করে বিক্রি করতে থাকে ঝাল-মুড়ি, চানাচুর ও বাদাম। বয়স বাড়ার কারণে এখন আর তার পক্ষে প্যাডেল ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সে অনেকের কাছে একটা ব্যাটারি চালিত ভ্যান চেয়েছে। কিন্তু কেউ তার সে চাওয়া টা পূরণ করেনি। সে আমার কাছে দাবি করে একটা ব্যাটারি চালিত ভ্যান। আর তার সে চাওয়া পূরণ করে স্বপ্ন পূরণ করা হয়। তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেয়া হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ