দামুড়হুদার বাঘাডাঙ্গায় শতাধিক কৃষক ৩শ বিঘা জমির পাটজাগ নিয়ে চরম বিপাকে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শতাধিক কৃষক তাদের পাটজাগ দেয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। এতে করে তারা অর্থনৈতিক ভাবে চরম লোকসানের স্বীকার হতে পারে বলে জানিয়েছেন। জানা গেছে, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের পাশে বাঘাডাঙ্গার (বালিগর্ত নামক স্থানে) ভৈরব নদীতে পাট জাগ দেন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শতাধিক কৃষক। বাঘাডাঙ্গার প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে একেবারে ভৈরব নদীতে যাবার রাস্তাও রয়েছে। রাস্তার একেবারে কোল ঘেষে সরকারি খাস জমি দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ঘাট পাড়ার মৃত জদ্দির ছেলে সহিদুল ইসলাম। এলাকার কৃষকরা তাকে বারংবার অনুরোধ করেছেন বেড়াটি ২ হাত সরিয়ে নিতে যাতে করে পাট ভর্তি গাড়ি সরাসরি ভৈরব নদীতে নামতে পারে। তাহলে কৃষকদের বিঘা প্রতি ৩ হাজার করে খরচ কম হবে। কিন্তু তা মানতে নারাজ সহিদুল ইসলাম। তিনি গায়ের জোরে খাস জমি দখল করে বেড়াটি রাখবেন। এলাকার কৃষকরা জানান, সহিদুল ইসলামের একগুয়েমির কারণে আমাদের গ্রামের শতাধিক কৃষকের প্রায় ২৫০/৩০০ বিঘা জমির পাট জাগ দেয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে গেছে। তারা জানান, বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার যেখানেই সাধারণ মানুষের সমস্যা সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন সমস্যার সমাধান করছেন। কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমরা আশাবাদী তিনি শতাধিক কৃষকের এ সমস্যার সমাধান করে বেড়াটি অপসারণ করে ভৈরব নদীতে পাট জাগ দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। এ বিষয়ে জানতে সহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সহিদুল ইসলামের বেড়াটি অপসারণ করে শতাধিক কৃষকের ফসল বাঁচাতে সোনালী আঁশ খ্যাতপাট জাগ দেয়ার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী শতাধিক কৃষক।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More