নিজসন্তানের অত্যাচারে গৃহহারা পিতার করুণ আকুতি সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

পিতা-মাতা ও সন্তানের সম্পর্ক সৃষ্টিকর্তার দান। এই সম্পর্কের ভালোবাসা ও মমতাবোধের দৃশ্য প্রায় সময়ই প্রতীয়মান হয়। আবার কিছু কিছু সময় নিছক ব্যক্তি স্বার্থ ও জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে পিতা ও সন্তানদের মাঝে ঘটে যাওয়া অনেক অনঅভিপ্রেত ঘটনা দৃশ্যমান হয় এই সমাজের বুকে। ঠিক তেমনিই একটি ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়াহুদা উপজেলার বনানীপাড়াতে। তথ্য মতে জানা যায় মৃত আসর আলীর ছেলে সাহাবুল হক, তিনি সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র একজন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘসময় চাকরি করার পর অবসরকালীনে পাওয়া অর্থ দিয়ে দামুড়হুদা বনানীপাড়াতে নিজ ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওর একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণের কিছুদিন পরেই সাহাবুল হকের স্ত্রী মারা যান। একদিকে যেমন স্ত্রী হারানোর শোক অন্য দিকে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করার ভাবনা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাবুলকে বেশ ভাবিয়ে তোলে। এই ফাঁকে ছেলে-মেয়েরা নগদ অর্থ হাতে পাওয়ায় উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। ছেলে-মেয়েদের এরূপ আচার আচরণ দেখে পিতা হিসেবে সন্তানদের শাসন করতে গেলে ছেলে-মেয়েরা পিতার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অবস্থা এরূপ দাঁড়ায় যে, ছেলে বাদশা ফয়সাল ও মেয়ে তাপতুন্নাহার তমা তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এক পর্যায়ে তাদের পিতা সাহাবুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও ছেলে ফয়সাল ও মেয়ে তমার রুঢ়ও আচরণের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়ে সাহাবুল কোনো সুবিচার না পেয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
উল্লেখ্য মো. সাহাবুল হক যে জমিটি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেছে তার কিছু অংশ নিজ শ্বশুরের নিকট থেকে ক্রয় করা; বিধায় ছেলে ফয়সাল ও মেয়ে তমা একজন ভারতীয় নাগরিককে নকল নানা সাজিয়ে ভুয়া আইডিকার্ড বানিয়ে সেই জমি তাদের নিজ নামে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রি করে নেয়। যার দরুণ ওটাকে পুঁজি করে বাবার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে স্থানীয়ভাবে পিতা সাহাবুলকে গৃহহারা করেছে। এ বিষয়ে ফয়সাল ও তমার সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন সাহাবুল আমাদের পিতা না। ভুক্তভোগী সাহাবুলের দাবি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখে আমার একমাত্র মাথা গোজার ঠাঁই বাড়িতে আমার শেষ জীবনে বসবাসের সুযোগ করে দেয়ার আকুতি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের বিচারিক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিজ্ঞপ্তি

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More