হাটবোয়ালিয়া/ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: পিরিতে মজিলে মন, কিবা মুচি কিবা ডোম”—পুরাতন সেই বাণী, আজও কাঁপায় সমাজকোণ।
নিয়ম মানে না প্রেম, মানে না সে ব্যবধান,
আজ তাই অসম বয়সের প্রেমের নয়া জয়গান।
মেহেরপুর গাংনীর এক মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবকের সঙ্গে নিরুদ্দেশ হওয়া তিন সন্তানের জননী রোজিনা খাতুন (৩২) অবশেষে তাঁর পূর্বের স্বামী মো. বাবুর (৪০) কাছে ফিরে এসেছেন। একটি যৌথ অভিযানে গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। রোজিনা তাঁর নতুন স্বামীকে তাৎক্ষণিক তালাক দিয়ে পূর্বের সংসারে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ নতুন বাজার এলাকার মো. বাবুর স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩২), যাঁর তিন ছেলে রয়েছে— বাইজিদ (১৫), ওসমান গনি (১০) এবং আবু বক্কর সিদ্দিক (৯)। স্বামী মো. বাবু (৪০) যখন কাজে ব্যস্ত থাকতেন, সেসময় গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী কাবিরুল ইসলামের (২০) সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১৮ দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন কাবিরুল। এরপর গত ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে রোজিনা তিন সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে কাবিরুলের সঙ্গে ঘর বাঁধার উদ্দেশ্যে নিরুদ্দেশ হন। স্ত্রী নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনায় দিশেহারা স্বামী মো. বাবু ওইদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ২১৬ নং সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করে।
জিডির সূত্র ধরে পুলিশ ভিকটিম রোজিনাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। আজ ১০ নভেম্বর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ এবং গাংনী এলাঙ্গী ক্যাম্প পুলিশ একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রাম থেকে ভিকটিম রোজিনাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন রোজিনা খাতুন তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তিনি তাঁর প্রথম স্বামী মো. বাবু ও তিন সন্তানের কাছে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই সময় তিনি কাবিরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক তালাক দিয়ে দেন এবং পূর্বের স্বামী মো. বাবুর সঙ্গে ফিরে আসেন। ৬ দিন পর তিন সন্তানের জননীর এমন আকস্মিক প্রত্যাবর্তনে তাদের পরিবারে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.