ফরিদপুর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

উপজেলা পরিষদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ : সারা জেলায় শোকের ছায়া

মহেশপুর প্রতিনিধি: চলে গেলেন আব্দুল্লাহ, আল্লাহর প্রিয় একটি নাম আব্দুল্লাহ। সৃষ্টিকর্তার ডাকেই চলে গেলেন আব্দুল্লাহ। মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা বাজারের এক পাগলীর গর্ভে জন্ম নেয় আব্দুল্লাহ। আব্দুর রশিদ ও যোশেদা বেগমের ঘরে আশ্রয় হয় আব্দুল্লাহর। ফুটফুটে চেহারার অধিকারী ছেলেটি সবার প্রিয় হয়ে ওঠে। ঘটনার দিন নাছোড়বান্দা হয়ে ওই পরিবারের সাথে ঢাকায় সে রওয়ানা দেয়। দূরন্ত ওই ছেলেটি ফিরে এসেছে লাশ হয়ে। এলাকার মানুষ শোকে পাথর হয়ে যায়। সর্বশেষ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৮ মাসের শিশু মোজাহিদের পিতা জুয়েল (৩০)। আগেই তার সন্তান স্ত্রী মারা যায়। একই পরিবারে ৬ জনের মৃত্যু এলাকায় এটিই প্রথম।

গতকাল সোমবার সকালে মহেশপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদের সভাপতিত্বে এক সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সকল পরিবারের প্রতি সমবেদন জ্ঞাপন করা হয়। এখনও যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তারা হলেন- সামন্তা গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান মন্টু (৬২), একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কুদ্দুস আলী (৪০), জলিলপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ ম-লের ছেলে সাহেব আলী (৬০), মান্দারতলা গ্রামের সনু মিয়ার মেয়ে মুন্নি খাতুন (২৫), ভৈরবা বাজারের আব্দুল্লাহর পালিত পিতা আব্দুল মজিদ (৬৫) ও  ঝিনাইদহ জজ কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী (৫৫)।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল নিহতদের পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেন ও সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান সহযোগিতার চেক পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন। এই ঘটনায় স্থানীয় এমপি অ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল শোক প্রকাশ করেছেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More