ফলোআপ: দামুড়হুদার দুধপাতিলার যমুনা ইটভাটার ঘটনা ভিন্নদিকে মোড় জেলা যুবদলের নাম করে নগদটাকা ও এক ট্রাক্টর ইট নিলো কারা
স্টাফ রিপোর্টার: এবার দামুড়হুদার দুধপাতিলার বহুল আলোচিত যমুনা ইটভাটা থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও এক ট্রাক্টর ইট নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা ও দর্শনা যুবদল/ছাত্রদলের কতিপয় কর্মীর বিরুদ্ধে। ইটভাটার মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকসহ দর্শনা ও দুধপাতিলার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের এ খবরটি জানিয়েছেন। অভিযোগে জানানো হয়; জেলা যুবদল/ছাত্রদলের ৪জন নগদ টাকা নিয়েছে ও দর্শনা পৌর যুবদল/ছাত্রদল হঠাৎপাড়া ও মোবারক পাড়ার এলাকার ৪জন এক ট্রাক্টর ইট নিয়েছে জোরপূর্বক। অভিযোগ উঠেছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা না দিলে যমুনা ভাটা থেকে ইট তুলতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান ভাটা মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের ভাগ্নে রাজ্জাক। অনেকটা অনুরোধে ঢেঁকিগিলা মত করেই বাধ্য হয়েই আব্দুর রাজ্জাক রাজি হয়ে কাজ চলমান রেখেছে। কিন্ত যারা যমুনা ভাটাই ইট নেয়ার জন্য অ্যাডভান্স করেছিলেন তারাও যমুনা ভাটাই গিয়ে ধর্ণা দিয়ে ঝগড়াঝাটি করে ফিরে আসছে। বর্তমানে ইট উত্তোলনকারী আব্দুর রাজ্জাক এখন কি করবে। কথিত চাঁদার টাকা যোগাড় করবে নাকি ইট অ্যাডভান্সকারীদের পাওনা পরিশোধ করবে, না ইট তোলা লেবারদের দিন হাজিরা দিবে। মারাত্মক ত্রিমুখী সমস্যায় পড়েছে ভাগনে নামক আব্দুর রাজ্জাক। বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে দেখভাল করলে সমাধান হতে পারে, তাছাড়া সম্ভব নাই বলে এলাকাবাসীর জোর দাবি। সাথে সাথে যমুনার চিমনি থেকে ইট উত্তোলনকারি মালিকের ভাগ্নে চুয়াডাঙ্গা কলোনিপাড়ার আব্দুর রাজ্জাককে এবং দুধপাতিলার ইটভাটার লেবার গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসা করলে চুয়াডাঙ্গার যুবদল/ছাত্রদলের নামধারী কর্মী কে বা কারা ইটভাটা থেকে টাকা নিয়েছে এবং দর্শনার হঠাৎপাড়া ও মোবারক পাড়ার যুবদল/ ছাত্রদল নামধারী কারা বাসস্ট্যান্ডে ইটভর্তি ট্রাক্টর থামিয়ে গাড়ি ভর্তি ইট নিয়েছে সবই বেরিয়ে আসতে পারে। কেউ কেউ বলছে দেশের বড় একটি দলের নাম করে এমন কাজ করছে বা করতে পারে এরা কারা? অবশ্যই এদের চিহ্নিত করতে হবে। উল্লেখ্য দর্শনার দুধপাতিলা যমুনা ইটভাটার ইট কে বা কারা নিয়ে যাচ্ছে, চোরের ওপর বাটপারি করার অভিযোগ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট স্থানীয় সব দৈনিক গুলোতে প্রকাশ হলে এলাকাবাসীরা আসল কিছু ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে জানিয়ে দেন। এলাকাবাসীরা জানালেন পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার ফলে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। এখনই যদি প্রশাসন উদ্যোগ না নেন তবে যমুনা ভাটা এলাকায় অঘটন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে গ্রাসবাসীরা জানান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.