ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গায় কেক কেটে প্রিয় নেতার জন্মদিন উদযাপন করলেন নেতাকর্মীসহ শুভাকাক্সক্ষীরা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির ৭৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী কেক কেটে প্রিয় নেতার জন্মদিন উদযাপন করেন দলীয় নেতাকর্মীরাসহ শুভাকাক্সক্ষীরা। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটায় এ সংসদ সদস্যের কবরী রোডস্থ বাসভবনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপিকে জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও জন্মদিনের কেক কাটেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান, ওসি অপারেশন একরামুল হুসাইন, সেকেন্ড অফিসার এসআই আশিকুল ইসলাম, এসআই ভবতোস রায়, আহসানুর রহমান, ডিএসবি’র এএসআই মাসুদ রানা ও তুষার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু।
অপর দিকে সন্ধ্যায় ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপির বাসভবনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। এ সময় ফুললে শুভেচ্ছা ও জন্মদিনের কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহামেদ, খুস্তার জামিল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুিন্স আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, আব্দুল কাদের, আব্দুর রশিদ, সিরাজুল ইসলাম আসমান, রাসেদুজ্জামান বাকি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সহসভাপতি শাহাবুল হোসেন, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগর অর্থ-উপকমিটির সদস্য ও মাইওয়ান মিনিস্টার হাইটেক পার্কের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খানের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্রাঞ্চের আব্দুল লতিফ ও কামাল আহমেদ, ইয়ামাহ শোরুমের পক্ষে ফেরদৌস ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ছেলুন জোয়ার্দ্দার। সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতেই তার হাতে খড়ি। তিনি চুয়াডাঙ্গা মহাকুমার পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে যান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ছিলেন যুবনেতা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন যুবনেতা ছেলুন জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গার যুবসমাজ ও ছাত্রসমাজকে একত্রিত করে মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চুয়াডাঙ্গাকে শত্রুমুক্ত করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হলে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। ১৯৭৯ সালে (সাংগঠনিক জেলা) চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পযন্ত তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। দীর্ঘ দুই দশক চুয়াডাঙ্গা মহাকুমা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আবুল হোসেন স্মৃতি গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জাতীয় সংসদে হুইপ নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্নাচনে তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য খুলনা বিভাগের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্তা, স্কুল-কলেজ, বিদ্যুৎসহ আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির পিতার নাম মরহুম সিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, মাতা মরহুম আছিয়া খাতুন। স্ত্রী আক্তারী জোয়ার্দ্দার মালা, একমাত্র কন্যা তাবসিনা জান্নাত প্রথমা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More