বিয়েতে রাজি না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় প্রেমিকার বাড়িতে মাদারিপুরের যুবকের বিষপান

স্টাফ রিপোর্টার: বছর দুই আগে চুয়াডাঙ্গা সদরে মহাম্মদজমা গ্রামের খন্দকার পাড়ার মেয়ে সাহিবার সঙ্গে মাদারিপুর জেলার গৌরনদী উপজেলার ছেলে জুসহাস হুসাইন ওরফে অমির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল শনিবার ভোরে প্রেমিকা সাবিহার বাড়িতে আসেন অমি। মেয়ের পরিবারসহ মেয়ে বিয়েতে রাজি না হলে ওই বাড়িতেই বিষপান করেন অমি। পরে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা অমিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, দুই বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মহাম্মদজমা গ্রামের খন্দকারপাড়ার সেকেন্দার আলীর মেয়ে সাবিহার সঙ্গে মাদারিপুর জেলার গৌরনদী উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে জুসহাস হুসাইন ওরফে অমির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝেমাধ্যেই অমি চুয়াডাঙ্গায় এসে তার প্রেমিকার বাড়িতে বেড়াতেও আসতেন।

জুসহাস হুসাইন ওরফে অমির বন্ধু বলেন, ঢাকাতে অমির মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান রয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। মেয়ের পরিবার থেকেও আঙটি পরিয়ে রাখা হয়েছিলো বলে জেনেছি। ৩/৪ মাস যাবত মেয়ে অমিকে এড়িয়ে যেতে থাকে। এজন্য গতকাল ভোরে কাউকে না জানিয়েই চুয়াডাঙ্গায় মেয়ের বাড়িতে চলে আসে অমি। সেখানে গিয়ে জানতে পারে এখন বিয়েতে মেয়ে ও তার পরিবার রাজি না। এরপরই প্রেমিকার বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় অমি। পরে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে এসেছি। তিনি আরও বলেন, অমি তার প্রেমিকাকে অনেক কিছুই সে দিয়েছে। বিভিন্ন সময় নগদ দেড় থেকে দুই লাখ টাকাও দিয়েছে প্রেমিকাকে। গতকাল মেয়ের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসে ‘অমি এই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’ মর্মে আমাদের ভিডিও স্টেটমেন্টসহ মুচলেকা নিয়ে গেছে। মেয়ের পিতা সেকেন্দার আলী বলেন, বেশ কিছুদিন আগে দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারি। ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলে সঠিক পরিচয় দেয়না। এক সময় বলে আমার বাড়ি শরিয়তপুর, আবার বলে মাদারিপুর, আবার বলে ঢাকাতে দাদির বাড়িতে থাকি। এক পর্যায়ে যোগাযোগ করে দুই পরিবারের মধ্যে দেখাশোনাও হয়। কিন্তু এই বিয়েতে আমাদের মত নেই বলে ছেলে ও ছেলের পরিবারকে জানিয়ে দিই। কোন আঙটি পড়ানো তো দূরের কথা, এক টাকাও আমার মেয়ে নেইনি। এরপর থেকে আমার মেয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ওই ছেলে আমার মেয়ের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতো। গতকাল ভোরে আমাদের বাড়িতে আসলে আমরা তাকে বসতেও দিয়েছি। এমনকি ভালোমন্দ জিজ্ঞাসাও করি। এরপর হঠাৎ করে সে বিষপান করে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি আরও বলেন, একটা ছেলে আমার বাড়িতে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে আমি তো আর বসে থাকবো না। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More