মহেশপুরে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প দু’বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি

মহেশপুর প্রতিনিধি: সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নয়নে সরকার ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে মহেশপুর উপজেলায় ২৭৬টি গভীর নলকূপ ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দু’বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
প্রাপ্ত সূত্রে প্রকাশ, সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্বাবধানে মহেশপুর উপজেলায় গভীর নলকূপ স্থাপনে ৩টি ঠিকাদার যথাক্রমে রহমত ট্রেডার্স বাগেরহাট, মিজানুর রহমান ট্রেডার্স ঝিনাইদহ ও মেসার্স ভাই ভাই ইলেকট্রনিক্স মাগুরা প্রকল্পটি বাস্তবাবায়নের কার্যাদেশ পায়। ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা গাফিলতি করে অদ্যবধি পর্যন্ত কাজ শেষ না করে অবহেলিত অবস্থায় ফেলে রেখেছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ সমাপ্তির পথে বাকী কাজ ২-১ মাসের মধ্যে শেষ হবে। কিন্তু সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফতেপুর ইউনিয়নে ২৩টি গভীর নলকূপের মধ্যে কোনটির কাজ সম্পন্ন হয়নি। আংশিক কাজ হয়ে পড়ে আছে। একই রকম চিত্র উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও।
ফতেপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বাসায় একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বারবার বলেও কাজ শেষ করছে না বলে তিনি জানান। ফতেপুর ইউপি’র ঠিকাদার রহমত টেডার্স এর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সাচ্চুর মোবাইলে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এলাকবাসী নিরাপদ পানির সরবরাহে জনস্বার্থে দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফতেপুর ইউনিয়নে আর্সেনিকের মাত্রা খুব বেশী। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে আসছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More