মেহেরপুরের আমের বাজারে উৎসবের আমেজ

মেহেরপুর অফিস: কয়েক দফা বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়লেও মেহেরপুর জেলায় আমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এখন আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করার কাজ চলছে পুরোদমে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মেহেরপুরে উৎপাদিত নানা জাতের আম চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আমের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি মেহেরপুরের কৃষকরা। জেলাজুড়ে উৎসবের আমেজে চলছে আম সংগ্রহ। বাগানগুলোতে বোম্বাই ও গুটিজাতের আমের পর এখন চলছে হিমসাগর আম সংগ্রহ। গাছ থেকে আম পেড়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর তা চলে যাচ্ছে বাজারে। অনেক ব্যবসায়ী বাগান থেকে সরাসরি আম সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক দিন পরই শুরু হবে ল্যাংড়া, আ¤্রপালি, ফজলি, বিশ্বনাথ ও মল্লিকা আম সংগ্রহ।
বাগানমালিকরা জানান, চলতি মৌসুমে খরতাপের কারণে আম উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়। বাগানে কীটনাশক ও নিয়মিত সেচ প্রদানের জন্য বেড়েছে ব্যয়। সে কারণে আম বিক্রি করে চাষিরা খুব বেশি লাভবান হতে পারছেন না। তারপরও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমের বাজার সচল থাকায় খুশি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি বাগানে আনন্দ নিয়েই চলছে আম সংগ্রহ।
আমচাষি জমির উদ্দিন বলেন, এ বছর অনাবৃষ্টি ও খুব রোদ পড়ার কারণে আম আকারে ছোট হয়েছে। তবে প্রচুর ফলন হয়েছে। শেষ সময়ে ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে বাগানিরা সবাই একসঙ্গে আম পাড়ছেন। বাজারে প্রচুর আম আমদানির কারণে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে আটি বোম্বাই, হিমসাগর আম পাড়া চলছে। কয়েক দিন পরে ল্যাংড়া, ফজলি, বিশ্বনাথ আম পাড়া হবে। তারপর আ¤্রপালি জাতের আম বাজারে আসবে।
আম বাজারের ইজারাদার শরীফ উদ্দিন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমের বাজারে বেশি প্রভাব পড়েনি। আমের গাড়ি চলাচলে বাধা নেই। প্রতিদিন মেহেরপুরের বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ব্যাপারীরা। তাদের মাধ্যমে মেহেরপুর থেকে আম চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কামরুজ্জামান জানান, জেলায় ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আমের গড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। ইতোমধ্যেই আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিছু আম নষ্ট হয়েছে। তারপরও কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাগানের যতœ নিয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন চাষিরা। লকডাউন শিথিল হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে আম নিয়ে যেতে পারছেন।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More