মেহেরপুর স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী কারাগারে

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রিপন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিপন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। রিপনের স্ত্রী গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের শেফালির দায়ের করা মামলায় ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই তৎকালীন বিচারক রবিউল হাসান রিপনকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সে সময়ে রিপন পলাতক ছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. তহিদুল ইসলামের আদালতে রিপন আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রিপনের সাথে রামদেবপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের মেয়ে সেফালির বিয়ে হওয়ার পর এক লক্ষ টাকার যৌতুক গ্রহণ করে রিপন। পরে আরো যৌতুকের দাবি করে। যৌতুকের দাবি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় শেফালির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে শেফালী বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ১১(গ) ৩০ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১৩/১২।

ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই তৎকালীন বিচারক রবিউল হাসান রিপনকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সময় থেকে রিপন পলাতক ছিলো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More