দেশের ফুটবলে এখন নতুন জোয়ার এসেছে। হামজা-শমিতদের আগমনে নতুন করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনায় ফিরেছে ফুটবল। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এমন ইতিবাচক আবহে বড় স্বপ্নে চোখ রাখছেন আলোচিত প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। বাংলাদেশের জার্সিতে বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য স্থির করেছেন তিনি।
জাতীয় দলে এখনো অনিভিষিক্ত এই ফুটবলার সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা সম্ভবত প্রতিটি ফুটবলারের স্বপ্ন। পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার এবং পরিবারের জন্য বড় সম্মানের। জাতীয় দলের জন্য লক্ষ্য বলতে বোঝায় বড় টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। দলের অনেকে তা করতে চাইবে।’
নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়ে মুখিয়ে আছেন তরুণ এই ফুটবলার, ‘অবশ্যই মাঠে আমার সৃজনশীলতা এবং গোল করার সক্ষমতা দিয়ে আমি দল ও ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে পারব। হয়তো বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এটি বড় কিছু হবে। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে আমরা অন্য দলের চেয়ে এগিয়ে যাব। জাতীয় দলের ক্ষেত্রে কী হবে, কে জানে। এখানে সবকিছুই উন্মুক্ত। আশা করি, ভালো কিছু হবে।’
এদিকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানোর আগেই দেশের ফুটবলের সঙ্গে অন্যভাবে যুক্ত হয়ে গেছেন মিচেল। কিংসের সঙ্গে করেছেন তিন বছরের চুক্তি। ১২ আগস্ট কাতারের দোহায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বে রাতে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহর বিপক্ষে তার ড্রেস রিহার্সাল হয়েছে। বদলি হিসেবে নেমে ২৫ মিনিট খেলে কিউবা তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
কিংসে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মিচেল বলেন, ‘আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা মনে করে এই ক্লাবে যোগ দেওয়াটা জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে আমাকে সহায়তা করবে। সবাই জানে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় কিংসের হয়ে খেলে। মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা অনেক কিছু সহজ করে দেবে। মাঠে আমার কাজও সহজ করে দেবে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.