সাপের নাম না জানায় চিকিৎসা হয়নি কিশোরের?

চুয়াডাঙ্গার পাঁচমাইলে সর্প দংশনে সুমিরদিয়ার আব্দুল্লাহ’র মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সাপে কেটে কিশোর আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে পাঁচমাইল এলাকার তামাক ক্রয় কেন্দ্রে আব্দুল্লাহকে সাপে দংশন করে। কিশোর আব্দুল্লাহ ঢাকা টোব্যাকোর নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল বাদ আছর সুমিরদিয়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া কলোনিপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে কিশোর আব্দুল্লাহ (১৭) সদর উপজেলার পাঁচমাইল বাজারে ঢাকা টোব্যাকোর তামাক ক্রয় কেন্দ্রে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও তিনি সেখানে পাহারার কাজ শুরু করেন। আনুমানিক রাত ২টার দিকে সেখানে তাকে সাপে দংশন করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজের হাতের ক্ষতস্থান বেঁধে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যান। আব্দুল্লাহ’র চাচা আশরাফ আলী জানিয়েছেন, দংশন করা সাপের নাম বলতে না পারাই তার কোনো চিকিৎসা দিতে পারেননি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান। অগ্যতায় বাড়ি ফিরে যান আব্দুল্লাহ। পরে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে ভোররাতে নেয়া হয় স্থানীয় কবিরাজ ইকতিয়ার হোসেনের কাছে। ঝাড়ফুঁক করার পর শরীরে কোনো বিষ নেই বলে জানিয়ে বাঁধন খুলে দেন কবিরাজ। এর কিছুক্ষণ পরেই আব্দুল্লাহ’র শরীরে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। সকালে আবার নেয়া হয় সদর হাসপাতালে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন বলেন, প্রথমে রোগীর লোকজন বুকে ব্যথা বলে আব্দুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে রোগ সম্পর্কে আবারও জানতে চাওয়া হলে তার পরিবারের লোকজন সর্প দংশনের বিষয়টি জানায়। প্রায় শেষ মুহূর্তে সাপে কাটার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে দুইটি অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন দেয়া হয়। তারপরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More