হরিণাকুন্ডুতে দুই স্কুলছাত্রী খালা-ভাগ্নী ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ

হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিনাকু-ুতে সপ্তম ও নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছরের বান্ধবী সম্পর্কে খালা এবং ভাগ্নী তাদের স্কুলে যাওয়ার নাম করে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। হরিণাকুন্ডু থানায় জিডি করার পর ২৩ দিন পার হয়ে গেলেও তাদের সন্ধান না পাওয়ায় হতাশ ও বিপাকে পড়েছে ওই দুই পরিবার। এ ঘটনায় হরিণাকু-ুতে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুইটি জিডি করা হয়েছে। তারা পালিয়ে কারো সঙ্গে চলে গেছেন না কেউ অপহরণ করেছে তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

জিডি সুত্রে জানা গেছে হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের ও দরিবিন্নী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী সম্পর্কে খালা এবং শাহিন লস্কারের মেয়ে ভাবনা ইয়াসমিন শান্তা। একই গ্রাম ও স্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী সম্পর্কে ভাগ্নি মতিয়ার রহমানের মেয়ে কাকলী ওরফে রুপালী দুই বান্ধবী। তারা সম্পর্কে উভয়ে চাচাতো খালা ও ভাগ্নি। তাদের উভয়ের বয়স ১৪ বছর। গত ১০ই মে মঙ্গলবার  সকাল ৯টার সময় সম্পর্কে খালা ভাবনা ইয়াসমিন শান্তা ও ভাগ্নি কাকলী ওরফে রুপালী উপজেলার দরিবিন্নী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হলেও বাড়িতে ফেরে নাই। নিখোঁজের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা খুঁজি করে দুজনকে না পেয়ে অবশেষে হরিনাকুন্ডু থানায় দুইটি জিডি করেন। উক্ত হারানো দুইটি জিডির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এসআই হুমায়ুন। এবিষয়ে এসআই হুমায়ুন সাংবাদিকেদের বলেন, আমি নিজেই আশ্চর্য ও হতবম্ব হয়ে গেছি। কারন তারা কৌশলে মোবাইল থেকে সব কিছু ডিলেট করে মোবাইল বাড়িতে রেখে নিখোঁজ হয়েছে। তাদের সাথে একই গ্রামের দুইটি ছেলের সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে সেই ছেলেদের ব্রেকআপ হয়েছে বলে ঐ ছেলেরা জানিয়ে দিয়েছেন এবং ছেলে দুইটা বাড়িতেই রয়েছেন। ঘটনার সুত্র ধরে স্কুলসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আবার তাদরে মধ্যে সমকামীতাও থাকতে পারেও বলে তিনি জানান। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানায় এসআই হুমায়ুন। এঘটনায় শৈলকুপা সার্কেল এসপি ও হরিণাকুন্ডু থানার ওসি  সাইফুল ইসলাম জানান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানায়। এদিকে সপ্তম ও নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ১৪ বছরের খালা এবং ভাগ্নী উধাওয়ের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি তাদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম হতাশা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More