২০১২ সালে অবসর : তারপরও চেয়ার ছাড়েনি ঝিনাইদহের বিএডিসি অফিসের মধুসুদন!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ২০১২ সালে অবসার নিয়েছেন মধুসুদন নামে এক সরকারি কর্মচারী। কিন্তু অবসরের ৯ বছর পার হলেও তিনি চেয়ার ছাড়েননি। বহাল তবিয়তে সরকারি চেয়ারে বসে কাজ করে যাচ্ছেন। নিচ্ছেন মানুষের কাছ থেকে ঘুষের টাকা। এমন চিত্র ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প অফিসে। জনবল সংকটের কারণে অফিসটিতে হ য ব র ল অবস্থা চলছে। তবে মধু সুদন বলছেন, তার পদে কোনো লোক নেই। তিনি ভালো বোঝেন বলেই তাকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি খামারে সেচ পাম্প স্থাপন করতে হলে অনুমোদন লাগে উপজেলা সেচ কমিটির ও বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প অফিসের। এই অনুমোদন নিতে চা খরচা দিতে হয় এই অফিসের কর্মচারীদের। আইন অনুযায়ী ন্যূনতম ৩০০ ফিট দুরত্বে আরেকটি সেচ পাম্প স্থাপন করা যাবে। অফিসে গিয়ে দেখা যায় ঝিনাইদহ বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ৯ বছর আগে অবসরে যাওয়া মধুসূদন বাবু পোড়াহাটি ইউনিয়নের একটি নতুন আবেদন নিয়ে নাড়া-চাড়া করছেন। টাকা নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছে। এই সময়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি পেয়ে প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে অন্য গল্প শুরু করেন। মধুসুদন সাংবাদিকদের জানান, তিনি ২০১২ সালের অবসর নিয়েছেন। কিন্তু আজও তিনি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। ভালো কাজ বোঝেন বলে অফিস তাকে রেখে দিয়েছে। তবে এই কাজ করার জন্য অফিস থেকে কোন টাকা পান না। তিনি বেতন ভাতা না পেলেও বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধা পান বলেই আজও কাজ করে যাচ্ছেন। অবসরের পরও কিভাবে কাজ করেন এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহজালাল আবেদিন জানান, জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতি মাসে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছি। কিন্তু নতুন কাউকে নিয়োগ দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অফিস চালানোর জন্য মধু সূদন বাবুকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীন বলেন, তিনি ২০১২ সালে অবসর নিয়েছেন আমি তো জানিই না। কিভাবে এখনও কাজ করছেন সেটাও জানি না। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More