শিশুশ্রম রোধে অভিভাবকসহ সকলকে দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি

শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার: ‘শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হলে শিশুদের ¯^াভাবিক বেড়ে ওঠা, মেধা বিকাশ ব্যাহত হয়। এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে জটিল ও প্রাণঘাতী রোগেও আক্রান্ত হয়ে শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পঙ্গুত্ব বরণেরও আশঙ্কা বাড়ে। ফলে শিশু শ্রম বন্ধে অভিভাবকসহ সমাজের সচেতন মহলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগেও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন কঠোরতা অবলম্বনে বাধ্য হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, শিশুশ্রম রোধে সচেতনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বাস্তবমুখি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, পরিবার পরিকল্পনা চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম দফতরের সহকারী পরিচালক মিরাজুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আশরাফ আলী, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শারমিন সেলিনা আজহার, জেলা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো চুয়াডাঙ্গা সহকারী পরিচালক শেখ মো. সুরুজ্জামান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সহকারী পরিদর্শক ইমতিয়াজ আলী, সহকারী তথ্য অফিসার রুস্তম আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, বাংলাদেশ শিশু একডেমির লাইব্রেরিয়ান আবু বক্কর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক মাকসুরা জান্নাত, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ উপস্থিত থেকে শিশু শ্রম রোধের গুরুত্বারোপ করেন। সভার শুরুতেই শ্রম পরিদর্শক তানিয়া আলম শিশু শ্রম রোধে সরকারের নানা পদক্ষেপসহ কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার শিশু শ্রমের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন শ্রম পরিদর্শক রাজু ও হিমল কুমার সাহা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More