আইন এবং বিধি অনুসরণ করেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, আইন এবং বিধি অনুসরণ করেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকে যদি নিজের ওপর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি তাহলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হবে। তবে, যার যে কাজ না, সে সেটা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। গতকাল রোববার জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি এ সময় বলেন, আমরা যে যেখানে আছি, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে জেলার উন্নয়নে কাজ করব।’ জীবননগর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই চুরি-ছিনতাই বেড়েছে যাওয়ায় জেলা প্রশাসক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটাও সেভাবে বন্ধ হয়নি। মাটি সন্ত্রাস রোধে পুলিশ বিভাগকে কঠোরহাতে অপরাধীদের দমন করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। গতকাল রোববার বেলা ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, জীবননগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শামীম ভুইয়া, দামুড়হুদার ইউএনও সানজিদা বেগম, জীবননগরের ইউএনও আরিফুর রহমান ও আলমডাঙ্গার ইউএনও রনি আলম নূর, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেলী সিদ্দিকা, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহীদুল ইসলাম, সভায় সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, আশপাশের জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গা ইলিশ মাছের দাম বেশি হওয়ায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এ জেলায় ইলিশের দাম যেভাবে বাড়ছে, আশপাশের জেলাগুলোর তুলনায় বেশি। এখন থেকে যার কাছ থেকে মাছ কেনা হবে, তার কাছেই ক্রয় রিসিভ দেখে কিনব। দেখাতে না পারলে তাঁকে জরিমানা করা হবে। এখানে মাছের আড়তদার’রা নিজেরা নিজেরা আইন করে নিলামে মাছ বিক্রি করবে এটা করতে দেয়া হবে না। সদস্যরা বলেন, জেলার বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। বেশি দামে গ্যাস বিক্রি যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, শহরে ইজিবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কেউ মজুদদারী করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করতে চাইলে তা কঠোর হাতে মোকাবেলা করতে হবে। পৌরসভার কর ও ট্রেড লাইসেন্স ফিস ব্যবসায়ী বান্ধব করতে হবে। সাইনবোর্ড ফিসের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা চলবে না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More