আত্মহত্যা নয় কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে

ঝিনাইদহের আলোচিত হিজড়ার লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট সম্পন্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে? আর কেনোই বা তাকে খুন করা হলো ? তবে পুলিশ বলছে, খুনিদের গ্রেফতার করা হলে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ জানায়, এ বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় কারিশমা (৪০) হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কথিত আত্মহত্যার ধরণ দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পরিকল্পিতভাবে কারশিমাকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের আশঙ্কা সত্য হলো। এদিকে পুলিশসহ সরকারের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। তদন্তের কাজ অনেক দূরে এগিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন শুক্রবার বিকেলে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পুর্ণাঙ্গভাবে ডিটেক্ট করতে পারিনি। এটা নিয়ে ৪-৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত ঘাতক চক্রকে ধরা যাবে। তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, সম্পত্তি আত্মসাত এমনকি তৃতীয় কোনো পক্ষ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন, গলায় দড়ি দিলে ঘাড়ের পেছনে দাগ থাকে না। এটা হত্যাকান্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কারশিমা হিজড়া উদয়পুর গ্রামে যখন বাড়ি তৈরী শুরু করেন, তখন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবি করে। এছাড়া ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুরের হিজড়াদের একটি গ্রুপ তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো। সব মিলিয়ে কারশিমা হিজড়াকে খুব ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামের ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার লাশ দেখতে পায়। বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলেছিলো কারিশমার মৃতদেহ। সম্পতি নগদ টাকা ও গয়নার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তার ভাই দাবি করেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে খুনের ৬৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More