আমের ফলন ভালোয় হলেও বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে গুনতে হবে লাখ লাখ লোকসান

স্টাফ রিপোর্টার: এবার আমের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে করোনার কারণে আমের বাজার পাওয়া নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছর দেশ থেকে কিছু আম বিদেশে রপ্তানি হয়। বিমান বন্ধ থাকায় এবার আম পাঠানো প্রায় অসম্ভব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দেশে বাজার কেমন যাবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। আমচাষিরা বলছেন, এবার করোনার কারণে প্রয়োজন মতো যতœ নেওা সম্ভব হয়নি। সরকারি নির্দেশনা মানতে গিয়ে তাদের অধিকাংশ সময় থাকতে হয়েছে ঘরে। পাওয়া যায়নি শ্রমিকও। আমচাষি মোসলেম মিয়া বলেন, ফলন ভালো আছে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আম পাকবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মানুষ আম কিনবে কীভাবে?
আম ব্যবসায়ী জমসেদ আলী বলেন, করোনা দুর্যোগে কর্মহীন দেশের অধিকাংশ মানুষ। ডাল-ভাতের জন্য তাদের যুদ্ধ করতে হয়। ত্রাণের আশায় থাকতে হয়। এসময় কিনে আম খাওয়া মানুষের কাছে বিলাসিতার মতো হয়ে যাবে। আমবাগান ব্যবসায়ীরা এবার লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনবেন। দাম নিয়ে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের কারণ আছে বলে মনে করেন গবেষকরাও। বিমান বন্ধ থাকায় এবার বিদেশের বাজার ধরা প্রায় অসম্ভব। দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজশাহী ফল গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, রাজশাহীর আম সারাদেশে এবং বিদেশেও যায়। এবার কীভাবে যাবে তা নিয়ে হতাশা আছে। তবে বর্তমান সরকার চাষিদের বিষয়ে বেশ নজর দেন। আম উঠতে উঠতে পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
ঝড় ও শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমের ফলন বেশ ভালো। কৃষিপণ্য লকডাউনের বাইরে থাকায় বাজার ধরতেও সমস্যা হবে না। আম বাজারে ওঠার সময় দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় দেহে পুষ্টি প্রয়োজন। পুষ্টিসমৃদ্ধ আম ভাতের চাহিদা যেমন কমায়, তেমনি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এ জন্য সবার আম খাওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More