আলমডাঙ্গার আইলহাসে গ্রামের পদ্মবিলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর দুর্বৃত্তায়ন

একাধিক মামলার আসামি হাকিমকে খুন করে লাশ ফেললো পানিতে

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে ইমরান হোসেন: আলমডাঙ্গার আইলহাসের আব্দুল হাকিমকে খুন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশে পদ্মবিল নামক স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাকিমের (২৩) বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি আইলহাস গ্রামের রিফিউজিপাড়ার শাহবুদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় পিয়ার আলী নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে হাকিমের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর না ফিরলে মধ্যরাত থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে আইলহাস গ্রামের পদ্মবিলের পাট ক্ষেতের ভেতর পানিতে আব্দুল হাকিমের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) কনক কুমার দাস, আলমডাঙ্গা থানার অপারেশন অফিসার ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার দাসসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।

আইলহাঁস ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের সদস্য ওল্টু রহমান আত্মীয়স্বজনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, হাকিম পেশায় শ্রমিকের কাজ করেন। তার মা-বাবাও শ্রমিক। পেশাগত কারণে তারা ফরিদপুরে থাকেন। নিহত হাকিমও ফরিদপুরে থাকতেন। দুমাস আগে এলাকায় ফিরে নিজ গ্রামে পৈতৃক ভিটায় বসবাস করে আসছিলেন।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি জানান, নিহত তরুণের মরদেহের সুরতহাল শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের ফয়জুদ্দিনের ছেলে পিয়ার আলীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এলাকার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাকিম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তারপর থেকে এলাকার উঠতি সন্ত্রাসী গ্যাঙের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। কয়েক বছর আগে অপহরণও হয় হাকিম। সে অপরহরণ নাটক বলেও অ্যাখায়িত করে অনেকে। দু বছর আগে গ্রামেরই মুদি দোকানি হাসিবুল ইসলামকে নৃসংশভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যা মামলায় সন্দেহমূলক আসামি আব্দুল হাকিম। এ ঘটনার পর দুবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। সর্বশেষ কয়েকমাস আসে আগে অস্ত্রসহ আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হাকিম। জামিনে মুক্ত হয়ে পুলিশি হয়রানি এড়াতে স্বপরিবারে ফরিদপুর জেলা চলে যান। সেখানে ছিলেন তিনি। গত দু মাস আগে হাকিম একাই নিজ বাড়ি আইলহাসে এসে অবস্থান করছিলেন। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হলো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More