আলমডাঙ্গার কালিদাসপুরে আলমসাধু ও পাওয়ার টিলারের সংঘর্ষ : গরুব্যবসায়ী আলমগীর বিশ্বাস নিহত : আহত ২

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর চাতালের নিকট আলমসাধু ও পাওয়ার টিলার সংঘর্ষে এক গরুব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আলমসাধু চালকসহ আরও দুজন। গতকাল দুপুরে গরু নিয়ে আলমডাঙ্গা পশুহাটে আসার পথে কালিদাসপুর এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া হাতিয়া আবদালপুর গ্রামের মৃত শামসুল বিশ^াসের ছেলে আলমগীর বিশ^াস (৫৫) ও তার ভাই হাসমত দীর্ঘদিন ধরে গরু ব্যবসা করেন। গতকাল আলমগীর বিশ^াস একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলামের সাথে করে আনোয়ার আলীর ছেলে ফিরোজ আলীর আলমসাধু যোগে ৪টি গরু নিয়ে আলমডাঙ্গা পশুহাটে আসছিলেন। হাটে আসার পথে আলমডাঙ্গা কালিদাসপুর চাতালের নিকট পৌছুলে পাওয়ার টিলারের সাথে ধাক্কা লেগে গরু বোঝাই আলমসাধু উল্টে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা দুজনই আহত হন। গরু বোঝাই গাড়িটি আলমগীর বিশ^াসের বুকের ওপর পড়ে। স্থানীয় জনগণ তাদেরকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা কালিদাসপুর মোড়ের আল-আরাফা প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আলমগীর বিশ^াসকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও দুর্ঘটনায় আহতরা জানান, আলমগীর বিশ্বাস ও আশরাফুল ইসলাম প্রতিনিয়ত আলমসাধু যোগে আলমডাঙ্গা পশুহাটে গরু বিক্রি করতে আসেন। গতকালও তারা ৪টি গরু নিয়ে আসছিলেন। দুপুরে তাদের আলমসাধু আলমডাঙ্গা শাদা ব্রিজের নিকট পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে এক পাওয়ার টিলারের চাকা রাস্তার খাদে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে আলমসাধুকে ধাক্কা মারে। এতে আলমসাধু সড়কের উপরে উল্টে যায়। আলমসাধুর নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গরুব্যবসায়ী আলমগীর বিশ্বাস। আহত হন একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে গরুব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম ও আলমসাধু চালক আনোয়ারের ছেলে ফিরোজ আলী।
নিহত আলমগীরের ভাই হাসমত জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গরু ব্যবসা করে আসছি। ভাই আমার সাথে আসার কথা ছিলো। আমি একটু আগে চলে আসার কারণে সে ওই গাড়িতে করে গরু নিয়ে আসে। আমার ভাইয়ের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। দুপুর পর পরিবারের অন্যন্যা সদস্যরা এসে নিহত আলমগীর বিশ^াসের লাশ, ৪টি গরু ও গাড়িটি নিয়ে যায়।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ, গরু বোঝাই গাড়ি ও গরু পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে দুর্ঘটনায় নিহত গরু ব্যবসায়ী আলমগীর বিশ^াসের পরিবার পক্ষ থেকে মামলা করবে না মর্মে লিখিত দিয়ে লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More