আলমডাঙ্গার কুমারী বাজারে বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে মিলিমা আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার কুমারী বাজারে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস। তিনি গতকাল শনিবার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষ, দোকানদার, পথচারী, রিকশাচালকদের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দিয়ে হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি ধানের শীষ সংবলিত লিফলেটও তুলে দেন। মিলিমা বিশ্বাস বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি লড়াই করেছি, এই ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখার জন্য নয়। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি এই পরিস্থিতি দেখার জন্য নয়। কারণ বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠান আজ অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, যখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিলো তখন এই সরকারের হাত থেকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথমে ২৩ দফা ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে এটিকে আরও উন্নত করে ২৭ দফা এবং ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে কমপ্লিট ৩১ দফা ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম বাবলু, থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. মমিনুল ইসলাম মুকুল বিশ্বাস, মহিলা নেত্রী সেলিনা বেগম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা শাহিন, আশরাফুল, মোহাম্মদ নিজাম, মিজানুর, জাহিদ হাসান কালু, লিখন, মালেক, আবু বক্কর, মফিজুল ইসলাম, বিপ্লব, মুনতাজ, এনামুল, আরিফ, জিৎ, নজরুল, আহাদ, আলামিন প্রমুখ। বিএনপি’র ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ (সমন্বিত রাষ্ট্রসত্তা) প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, সংস্কার প্রস্তাবে আইন সভায় উচ্চ কক্ষের প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন প্রভৃতি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.