আলমডাঙ্গার কেশবপুর গ্রামে বিল নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃআলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দের অবসানের লক্ষ্যে গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে আপোষনামা লিখিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় কেশবপুর বাজার প্রাঙ্গনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্হানীয় মন্ডল- মাতুব্বর ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে এই আপোষ মিমাংসা হয়েছে।
প্রথম পক্ষগন, মোঃ মুনসুর আলী চেংগীস, পিতা: মৃত মোবারক আলী, মোঃ:মুনজিল হোসেন, মোঃ আনিস উদ্দিন, পিতা: মৃত মওলা বক্স, কেশবপুর, আলমডাঙ্গা ও
দ্বিতীয় পক্ষগন , মোঃ কুরবান আলী, পিতা: মৃত রহমাতুল্লাহ মন্ডল, মোঃ: আব্দুস সালাম, পিতা: আলী মহাম্মদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতা: মৃত মহাজ মন্ডল, মোঃ রবিউল ইসলাম, পিতা:তাহাজ মন্ডল, কেশবপুর, আলমডাঙ্গা মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনের জন্য নতুন করে মারামারি সংঘাতে জড়াবেন না এই শর্তে আপোষ – মিমাংসা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হুদা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুহিবুল হুদা তুহিন।
আপোষনামা সম্পাদনে সার্বিক ভাবে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন মিরপুর, মালিহাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূরে আল আমিন বুলবুল।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাঃ মাসুদুর রহমান পিপিএম মাথাভাঙ্গাকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। স্হানীয় মন্ডল- মাতুব্বর ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ-মিমাংশা হয়েছে বলে জেনেছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর গ্রামের বর্তমান মেম্বার ও হারদী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী চেংগিস গত তিন বছর আগে প্রায় ৭০ জন স্থানীয়ের কাছ থেকে ১০ বছরের চুক্তিতে একটি পরিত্যক্ত বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন এবং প্রতি বছর নিয়মিত লিজের টাকা পরিশোধ করতেন।
তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতন পরিবর্তনের পর বিএনপি-সমর্থিত একটি গ্রুপ বিলটির মালিকানা দাবি করে মনসুর আলী চেংগিস মেম্বারের লিজ চুক্তি আর মানবে না বলে ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়, যা একাধিকবার সালিশ-বৈঠকের পরও মেটেনি।
স্থানীয়রা আরো জানান, “বিলের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্বে মাছে বিষ দেওয়া বা পাটের দাগ কেটে নষ্ট করার মতো ঘটনা ঘটলেও গতমাসে তা সরাসরি রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়।” এই হামলার পর পুরো কেশবপুর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More