আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়সভায় শরীফুজ্জামান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দায়িত্ব পেয়ে জেলা বিএনপিকে এ পর্যায়ে এনেছি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে যখন চুয়াডাঙ্গায় জাতীয়তাবাদী দল ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিল, তখনই আমাকে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সময় থেকেই ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত আমরা যেসব কমিটি গঠন করেছি, তাতে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। একটি কমিটিও পকেট কমিটি হতে দেইনি। প্রত্যেকটি কমিটিতে আমরা ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করেছি।’ গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের পাঁচলিয়া বাজারে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত কুশল বিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন কমিটিও ওয়ার্ড কমিটির ভোটারদের মাধ্যমে গঠন করেছি। সাধারণত প্রতি সময় জেলা বা উপজেলা থেকে কমিটি হতো। এবার সেই ধারা ভেঙে প্রথমবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় নিচ থেকে উপরের দিকে কমিটি গঠিত হয়েছে। আমি যে জেলা সাধারণ সম্পাদক হয়েছি, তাও নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এখানে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা হয়নি, ঢাকার কোনো লবিংয়ের মাধ্যমে আসিনি। জেলা কাউন্সিলরের ভোটে নির্বাচিত হয়েই আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়নের সময় যারা কমিটিতে ছিল তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এদের অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে, মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়েছে। মিল্টন ভাই জানালেন, এই ইউনিয়নের ২৬ জন নেতা-কর্মী জেল খেটেছেন। তাদের পরিবার, মামলা, চিকিৎসা-সবকিছু আমরা দেখভাল করেছি। সাহস করে চুয়াডাঙ্গা শহরে মিছিল-মিটিং করেছি। রাজপথ কখনো ছাড়িনি। রাজপথেই আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছি।’ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভুল-ভ্রান্তি থাকলেও এখন এসব ভুলে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এগিয়ে যেতে হবে। এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে যে-ই নমিনেশন পাক না কেন, ধানের শীষ প্রতীক থাকবে একজনের জন্যই। আমরা সেই প্রার্থীকে বিজয়ী করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারেক রহমানের হাতকে ইনশাআল্লাহ শক্তিশালী করবো।’ জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু এবং জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সাদিদ, জেলা ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এহসানুল হক স্বরাজ, মিজানুর রহমান মিজান, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ টনিক, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মিল্টন আলী, যুবদল নেতা সালাম শাহ, শামীম আহমেদ, রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদসহ জামজামি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ওয়ার্ড পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.