আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়ায় নৌকার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে প্রবেশ করে নৌকা ভাঙচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিবর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দল করি; আর আজ যারা আমাদের দলীয় নৌকা ভেঙে দিয়েছে, আমি মনে করি তারা জামাত জঙ্গি সংগঠনের লোক। তাই আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে নৌকা ভেঙে দিয়েছে। সন্ত্রাসী জঙ্গিদের কঠিন শাস্তি হতে হবে। ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ হাসনাত সোহাগ বলেন, দল থেকে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে আমার সাথে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু নৌকা প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলো। কিন্তু দল থেকে তিনি নৌকা প্রতীক পাননি; তাই তিনি আমাদের দলের ভেতরে গ্রুপিং করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এসে গোপন মিটিং করে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে তার কর্মীদের হুকুম দিয়েছেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মেম্বার ইসমাইল হোসেন এশা, শিবাদ আলী, আলমসহ কয়েকজন নিয়ে আমাদের দলীয় অফিসে প্রবেশ করে নৌকা ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের কর্মীরা সেখানে প্রতিবাদ করতে গেলে তার ওপর ইট ছোঁড়ে ও গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল থেকে সড়ে যায়। এ বিষয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু বলেন সেখানে কোনো নৌকা তৈরি হয়নি এবং আমার দলের কোনো ছেলে নৌকা ভাঙচুরের প্রশ্নই ওঠে না। আমি ওই গ্রামে মিটিং করে চলে এসেছি, এ সময় কিছু ছেলেরা আমাকে দেখে নৌকা বলে সেøাগান দিলে আমার কর্মীরা বাবলু ভাই বলে সেøাগান দেয় এবং আমি সেখান থেকে আমার এলাকায় চলে এসেছি।
এ বিষয়ে হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মেজব্হাুর দারাইন বলেন বাঁশবাড়িয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দলীয় পার্টি অফিসে নৌকা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More