মুর্শিদ কলিন: যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়ায় স্থাপিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রদর্শনী প্লট গতবুধবার বিকেলে পরিদর্শন করেন খামার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাসুদুর রহমান সরকার। এসময় তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার ওপর জোর দেন এবং কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে মাটিকে রক্ষার আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ দেবাশীষ দাস, কৃষিবিদ মিঠুন চন্দ্র অধিকারী, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন পলাশ, এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হক শাহীন, খাদেমুল বাশার, মোঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
খামার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাসুদুর রহমান সরকার মাথাভাঙ্গাকে জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় আগামী তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে প্রণোদনা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “যেভাবেই হোক আমাদের পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমাদের এই মাঠ পরিদর্শনে আসা। যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আমরা এখানে প্রদর্শনী স্থাপন করেছি। আমরা আশা করছি এই প্রদর্শনী ভালো হবে এবং এখান থেকে কৃষক লাভবান হবে। এই পেঁয়াজটি আমাদের দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে।”
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় তা মাটির জন্য ক্ষতিকর। তিনি কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, “বর্তমান রাসায়নিক সারের ব্যবহার ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গেছে। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে হবে এবং মাটিকে রক্ষা করতে হবে।”
কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের এই ধরনের প্রদর্শনী এবং উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপায়ে ফসল উৎপাদনে জোর দেওয়ায় তা টেকসই কৃষি ব্যবস্থার দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
জীবননগরের জোড়া হত্যা মামলার দুই পলাতক আসামী ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.